ঠাকুরগাঁওয়ে গভীর রাতে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, আহত ৭, গ্রেপ্তার ৪ জন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ভূল্লীতে গভীর রাতে ফিল্মি স্টাইলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লুটপাট, ভাংচুর ও মারধর করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাদাবীর মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের মৃত হাসান আলী (সুরত আলী) ছেলে আক্কাস আলী এজাহারে উল্লেখ্য করেন রাত্রি অনুমান ০২.৪৫ ঘটিকার সময় ৫০/৬০ জন্য সন্ত্রাসী হামলা চালায়, আক্কাস আলী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামী করে ভূল্লী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:- ঠাকুরগাঁও শহরের উত্তর হাজীপাড়া এলাকার মৃত মহির উদ্দীন ছেলে আজিজুর (৩৫), শহরের পুলিশ লাইনের পূর্ব পার্শ্বে এলাকার সাইফুদ্দিন ছেলে সুমন আলী (৪০), শহরের মুসলিম নগর এলাকার হাসান আলী ছেলে তুহিন আলম (২৫) এবং নওগাঁ পত্নীতলা এলাকার আঃ সালামের ছেলে মোঃ মমিনুল ইসলাম (৪০)।
আহতরা হলেন:- গিয়াস উদ্দিন (৪৫) পিতা মৃত হাসান আলী (সরুত আলী), আফরিন বেগম (৩৫) স্বামী গিয়াস উদ্দিন, করিমন বেগম (৬৫) স্বামী হাসান আলী (সরুত আলী), ফরিদা পারভীন (৩০) স্বামী নুর আলম, রুবিনা (৪০) স্বামী কলিম উদ্দিন, কলিম উদ্দিন (৪৮), পিতা মৃত হাসান আলী (সরুত আলী)
ও ভাতিজা ইমরান আলী (১৪)।
এজাহারে জানাযায়, গত শুক্রবার রাত্রি অনুমান ০২.৪৫ ঘটিকার দিকে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে গ্রেপ্তারকৃত চারজনসহ অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনের একদল লোক আক্কাস আলী বাদীর কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, বাদী টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইলে পূর্ব পরিকল্পনা মতে গভীর রাত্রে তারা জোরপূর্বক ভাবে জমি দখল করতে যায় এবং লুটপাট, ভাংচুর ও মারধর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং ৭ জন আহত হন। ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসিয়া আমাদের আহত ভিকটিমদের মাইক্রো যোগে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। আসামীদের দ্বারা বাড়ী ঘর ভাংচুরের ফলে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে উল্লেখ্য করা হয়।
এসময় স্থানীয় লোকজন চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি একেএম আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আহত হওয়ায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক রিলিজ প্রদান করলে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এরপর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।