রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট হচ্ছে
লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা তার নাতির সাথে ভোট দিতে এসেছে। এই প্রথম ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুব খুশি।
দেখা যায় রাজশাহী আড়ানীর একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ উপস্থিতি। রাজশাহীতে ১৪ পৌরসভার মধ্যে ১৩ টি পৌরসভার নির্বাচন হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে শেষ করায় ১৬ জানুয়ারি দ্বিতিয় ধাপের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। রাজশাহীতে দ্বিতিয় ধাপের নির্বাচনে আড়ানী, কাকনহাট ও ভবানাীগঞ্জ পৌরসভার নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। তিনটি পৌরসভার মধ্যে আড়ানী পৌরসভা সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কাকনহাট ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় নৌকার একক প্রার্থী হওয়ায় নির্ভাবনায় রয়েছে দলের হাই কমান্ড। কিন্তু অপর দিকে আড়ানী পৌরসভা নিয়ে শুরু থেকে দিধাদ্বন্দে পড়ে দলের হাই কমান্ড। সমঝোতা না হওয়ায় সতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করেন বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী। আর নৌকার মাঝি হিসেবে দ্বায়িত্ব দেন শহিদুজ্জামান শহিদের হাতে। এরপর থেকে শুরু হয় দুই প্রর্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তবে নির্বাচনের আগেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হওয়ায় ভোটের দিনে কড়া নিরাপত্তায় ভোট গ্রহন শুরু হয়। ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়। এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অবাধ সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে ভোট গ্রহন চলছে।
কলেজ পড়ুয়া স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিরা মাসহ ভোট দিতে এসেছেন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। মনিরার মায়ের ভোট দিতে খানিকটা সময় লাগলেও বৃষ্টি ভোট দিয়েছেন নিমিষেই। ইভিএম নিয়ে মনিরা জানান, ‘এটা অনেক সহজ ও ভালো পদ্ধতি। সময়ও কম লাগে। ব্যালটের মতো ঝামেলা নেই।’
তবে প্রথমবার ইভিএমএ ভোট হওয়ায় মনিরার মায়ের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তিনি জানালেন, ‘প্রথমবার হওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। তবে মেয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পর ভালো ভাবেই ভোট দিয়েছি।’
একই কেন্দ্র থেকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে রিকশাচালক আনিস জানালেন, সিল দিয়ে ভোট দেওয়ার চেয়ে ইভিএম পদ্ধতি অনেক সহজ। আনিস বলেন, ‘সিল মারার চেয়ে এটা ভাল। কোনও ঝামেলা নাই।’পদ্ধতি সহজ না কঠিন, এমন প্রশ্নে এই রিকশাচালক বলেন, ‘হামরা মুরুক্খো (মূর্খ) মানুষ, হামারটেই তো সহজ নাগিল ( লাগলো)। তোমার টেইতো ( তোমার কাছে) আরও সহজ!’