আজ পৌষ সংক্রান্তি
নবোদয় প্রতিবেদক : আজ ৩০ পৌষ। পৌষের শেষ দিন মানেই পৌষ সংক্রান্তি। এই দিনটিও উৎসবের। এ উৎসব সাকরাইন নামে উদযাপিত হয়।
কেবল গ্রামই নয়, এই দিনে নানা আয়োজনে মেতে ওঠে পুরনো ঢাকাও। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো, আতশবাজি, পটকা ফোটানো এসব থাকে এ উৎসবে।
পৌষ বিদায়ের দিনটিতে আজ গোটা পুরান ঢাকাই থাকবে উৎসবে মুখর। এবার পুরান ঢাকার নীল আকাশ রাঙাতে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দশ হাজার ঘুড়ি ওড়ানো হবে।
জাকজমকপূর্ণ এ ‘সাকরাইন’ বা ঘুড়ি উৎসবের’ আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের নির্দেশে এই ঘুড়ি উৎসব করছে ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।
‘এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত উৎসবে ঢাকা দক্ষিণের ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের মোট ১০০ জন কাউন্সিলরকে ১০০টি করে ১০ হাজার ঘুড়ি সরবরাহ করেছে ডিএসসিসি।
এর বাইরেও প্রতিবারের মতো ব্যাক্তি উদ্যোগেও উড়বে হাজার হাজার ঘুড়ি। বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেগুলো উড়বে ঢাকার আকাশে। মাঠ কিংবা বাড়ির ছাদে ছাদে দেখা যাবে ছোট ছোট সমাবেশ।
ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ বলেন, ‘কালের পরিক্রমায় ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, এটি আমাদের ঐতিহ্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে হয়তো এখনো কোথাও কোথাও মেলার নজির রয়ে গেছে। বিভিন্ন নামে অনুষ্ঠিত হয় এসব মেলা। ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীর তীরে ‘বুড়াবুড়ির মেলা’ বসার ঐতিহ্য বহু পুরনো। পৌষের কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শিশু-কিশোর ও হাজারো নারী-পুরুষ সমবেত হয় এ মেলায়।
নানা খাবারের পসরা নিয়ে বসেন দোকানি। দিনভর মেলায় চলে পিঠা উৎসব, ঘুড়ি ওড়ানো, পটকা ফুটানো।