মাহবুবুর রহমান শরীয়তপুর প্রতিনিধি:শরীয়তপুরের জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ।

সরকারি চাকুরী বিধির নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে,চাকুরী আবেদন কারি প্রার্থীদের না জানিয়ে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জিত কুমার বারুলী কে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে আবদেন কারি প্রাধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে লোক নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক যুগান্তর ও স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে মোট ১১জন প্রার্থী প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন। সরকারি বিধি মোতাবেক ন্যূনতম ২৩ দিন অতিবাহিত নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করতে পারে কিন্তু বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ তড়িঘরি করে ২৭ মার্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নেন।

এদের মধ্যে জেলার ভেনপা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হান্নান, শহীদ আব্দুস সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী হোসেন, কনেশ^র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলহাস মিয়া, তেলীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার বিশ্বাস প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করেছেন। তাদের সমস্ত কাগজপত্র বৈধ হলেও কোন অদৃশ্যের কারণে তাদের কাছে কোন ইন্টারভিউ কার্ড পাঠানো হয়নি। নিজেদের পছন্দের পছন্দের প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য তাদের অনুগ্রহ শিক্ষকদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় । এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হাঁটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক পদে ৫জন অংশ গ্রহণ করি। পরীক্ষার সময় উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জিত কুমার বারুলীকে অন্য তিনজন মিলে প্রশ্নের উত্তর সমাধান করে দিয়েছেন।

এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তাদের পছন্দের প্রার্থী সঞ্জিত কুমার বারুলীকে সকল প্রশ্নের উত্তর বাহির থেকে সমাধান করে এনে দিয়েছেন। এসব অনিয়মের কথা নিয়োগ বোর্ডে থাকা কর্মকর্তাদের জানানো হলেও এ ব্যাপারে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন আমি হলে গেছিলাম কিন্তু কাউকে নকল সরবরাহ করিনি ডিজির প্রতিনিধি ছিলো তারা তদন্ত করে দেখেছে। এসব বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফিরোজ খান সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সঞ্জিত কুমার বারুলীকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কোন অনিয়ম হয়নি। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেননি। কোন অনিয়ম হলল নিয়োগ বন্ধ থাকবে।