পরশখিলা ও গঙ্গানগর গ্রামের মাঝে সংঘর্ষের মূল কারণ ৪৪৯ নং খতিয়ানভুক্ত জমি নিয়ে
ষ্টাফ রিপোর্ট:পরশখিলা ও গঙ্গানগর গ্রামের মাঝে সংঘর্ষের মূল বিষয় পরশখিলা ঈদগাহ মাঠের পাশে পরশখিলা গ্রামের ১২ জন ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত ৪৪৯ নং খতিয়ানভুক্ত জমি নিয়ে।
এ জমির ইতিহাসের বিবরণ হলো এই যে সিএস মালিকগণ উক্ত জমি পরশখিলার গ্রামের লোকদের নিকট বিক্রি করে।৬/১০/১৯৮৩ সালে সাফ কাওলা দলিল দ্বারা সিএস মালিকগণ তাদের দখলদারিত্ব ও স্বত্ব হারান। তা হতে পরশখিলা গ্রামবাসী ২০/১/১৯৮৭ ইং তারিখে ১৩১ নং দলিল মূলে ক্রয় করিয়া নিজেদের নামে আরওআর ও বিআরএস রেকর্ডভুক্ত করিয়া তাহা ভোগদখলরত আছে আজ ৩৩ বছরের উপরে।
সেমতে সিএস পরবর্তী রেকর্ড আরওআর রেকর্ডে পরশখিলা গ্রামবাসীর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। আরওআর রেকর্ডের ধারাবাহিকতাক্রমে সর্বশেষ বিআরএস রেকর্ডেও ৪৪৯ নং খতিয়ানে তা পরশখিলা গ্রামবাসীর নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। সুতারাং জমির মালিকানা ইতিহাসটি খুবই পরিষ্কার।
এবং এ জমিটি বিগত ৩৩ বছর ধরে পরশখিলা গ্রামবাসীর দখলে ও ভোগদখলকৃত।
এ জমিতে গঙ্গানগর গ্রামের কারো কোন স্বার্থ জড়িত নেই। উক্ত জমিটিতে কাপাসাটিয়া গ্রামের একজন মহিলা তার উত্তরাধিকার সিএস মালিকদের একজন ছিল এরুপ মিথ্যা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩১৩/২০২১। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গঙ্গানগর গ্রামবাসী এ জমি জোরপূর্বক দখল করার চুক্তি নেয়। এই জায়গাটিতে গঙ্গানগর গ্রামবাসী কর্তৃক শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে এ মর্মে পরশখিলা গ্রামবাসী মদন থানায় ১০৭/১১৭ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর বিচারাধীন ২০/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন।
জোরপূর্বক জমিটি বেদখলে ইন্ধন দিচ্ছেন গঙ্গানগরের কতিপয় লোক। এ জমির পুকুর হতে তারা মাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। নতুন করে জোরপূর্বক দোকান ঘর তুলেছে ৪/৫ টি গঙ্গানগর গ্রামবাসী।
এরই সূত্র ধরে বিগত রবিবার পরশখিলা গ্রামবাসীর কতিপয় লোকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রেক্ষিতে গঙ্গানগরের কতিপয় লোক পরদিন সোমবার সকাল ৯ টার দিকে পরশখিলা গ্রামবাসীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে একজন গুরতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। যার নাম বজলু মিয়া(৪০) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মুখের মেণ্ডিবল ফ্র্যাকচার হয়েছে যা তার অবস্থার অবনতি করছে দিন দিন।
গঙ্গানগর গ্রামের এ লোকগুলো যুগযুগ ধরে আদিম বর্বরতার চর্চা করে যাচ্ছে অত্র এলাকায়। আশপাশের গ্রামের সাথে ঝগড়া এদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
এর সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে অত্র এলাকাটিতে শান্তি ফিরে আসবে।