এর তাৎপর্য অনুসারে কতিপয় ধর্মীয় রীতিনীতি পালনপূর্বক রাখাইনরা এ উৎসব উদযাপন করে থাকে। তিন দিন ব্যাপী সাংগ্রাইন এর প্রথম দিনে নিজ নিজ পাড়ার স্থানীয় রাখাইনরা সংশ্লিষ্ট বিহারের বৌদ্ধ প্রতিকৃতির ¯স্নান সম্পন্ন করেন। বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু ও উপবাসীদেরকে আহার দান, দ্বীপ ও ধুপ প্রজ্জলন এবং প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। বুদ্ধ¯স্নানের পর ছোটরা জল নিয়ে প্রবীনদের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদেরকে ¯স্নানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর পর শুরু হয় শিশু-কিশোর, তরুন-তরুনী ও সর্বস্তরের রাখাইনদের জলখেলা ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।
তৎকালীন জলখেলা ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলতো মাসব্যাপী। কালের বিবর্তনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান হারিয়ে গেলেও রাখাইনরা জলখেলা অনুষ্ঠানটিকে ধরে রেখেছে। সেই সাথে উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমুহ সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে রাখাইন অধ্যুষিত এলাকা সমূহে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং আর্থিক সমর্থ না থাকায় সে সকল পাড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগ্রাইন উদযাপিত হচ্ছে। রাখাইনরা জানায়, সরকারি বা বেসরকারি অনুদান পেলে প্রতি বছর নিয়মিত ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইন উৎসব উদযাপন সম্ভব।
তিন দিন ব্যাপী এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী ৪ আসনের এম পি মহিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, সাবেক মেয়র মোঃ বারেক মোল্লা, মোঃ হাসনাইন পারভেজ পুলিশ পরিদর্শক ট্যুরিষ্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন, মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের ও পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সবশেষে রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুন-তরুনীরা শত শত দর্শকদের সামনে তাদের কৃষ্টি, কালচার, সংগীত পরিবেশনা, জল খেলা ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন তারা।