পটুয়াখালীতে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা,
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন বহালগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৩৪) এর ৮ বছরের শিশু কন্যা সামিয়াকে ধর্ষনের চেষ্টায় একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী সুলতান মৃধার ভাই বশির মৃধা (৫০)’কে গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
এব্যপারে ভুক্তভোগী শিশু কন্যার বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৯ আগষ্ট দুপুর ২ টায় আসামি মো,বশির মৃধা তার বসত ঘর সংলগ্ন বাথরুমে শিশুটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। এবং শিশুটির সেলোয়ার কামিজ পাজামা উলঙ্গ করে ধর্ষের চেষ্টা করলে শিশুটির ডাক চিৎকারে বাড়ীর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বশির মৃধা আট বছরের শিশু কন্যাটিকে ছেড়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়।
সূত্রে আরো জানাযায়,
আসামী বশির মৃধা ও ভুক্তভোগীর নানা বাড়ি পাশাপাশি অবস্থান থাকায়। শিশুটি তার নানা বাড়িতে বসবাস করে এবং টাউন জৈনকাঠী
কেএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীতে লেখাপড়া করতেন বলে জানা যায়।
বাদী মিজানুর রহমান বলেন, আসামির ভাই সুলতানা মৃধা পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এবং সংসদ সদস্য প্রার্থী। আমি এখনও ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত। তাছাড়া এখন আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। আইনের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। আমার শিশু কন্যার সাথে যে অমানবিক নির্যাতন করেছে আমি তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর চাচা শাহীন দৈনিক বরিশাল সমাচারকে বলেন, আসামীকে আটক করে থানায় রেখে দিয়েছে।এবং আমার ভাতিজিকে সদর হাসপাতালে চেকআপের জন্য নেয়া হয়েছে।এরপর কোর্টে জবানবন্দির জন্য নেয়া হয়েছে বলে জানান।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে একই বাড়ীর মো,হারুন হাওলাদার জানান,বাড়ীতে এসে শুনলাম আমার ভাইয়ের মেয়েকে দুপুর ১ টার দিকে বাড়ীর উঠানে বৃষ্টিতে ভিজতেছিল এসময় সুলতান মৃর্ধার ভাই বশির মৃর্ধা ওকে ডেকে নিয়ে তার ঘড়ের পিছনে থাকা বাথরুমে নিয়ে জামা কাপড় খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে এসময় ভাইয়ের মেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে বশির মৃর্ধা ওকে ছেড়ে দেয়। আমরা গরীব বিধায় কোন কিছুর প্রতিবাদ করতে পারি না। আমি এর উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি বলেন,পটুয়াখালী সদর সার্কেল স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ঘটনার প্রাথমীক সত্যতা পেয়ে আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়াও ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ থানায় এজাহার ভুক্ত করে নিয়েছি অপরাধী যেই হোক শাস্তি সে পাবেই বলে জানান তিনি।