মোঃ শহিদুল ইসলাম বিশেষ সংবাদদাতাঃচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ইপিজেড থানা কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্য মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ০৯/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় সিইপিজেডস্থ কন্ডা আর্টস মেটেরিয়ালস ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক আসামী সাদিকুর রহমান (২৬) পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান, মাতা-সাহনুর বেগম, সাং-তেলিকান্দি থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, বর্তমানে-আকমল আলী রোড, হোয়াইট হাউজ (নতুন মসজিদের পরে নেভী বিল্ডিংয়ের আগে), থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম।

এবং রমজান আলী (৩৫) দ্বয়ের মধ্যে পাওনা টাকার বিষয় নিয়া কথা কাটাকাটি সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ে তাহারা একে অপরকে দেখে নিবে মর্মে হুমকি ধমকি দেয় এবং তাহারা উভয়েই তাহাদের ফ্যাক্টরী সহ অন্যান্য ফ্যাক্টরীতে কর্মরত তাহাদের পরিচিতজনদের বিষয়টি জানাইয়া ফ্যাক্টরী ছুটির পর তাহাদের ফ্যাক্টরীর সামনে থাকিতে বলে। ফ্যাক্টরী ছুটি হওয়ার পর তাহাদের উভয়ের পরিচিতজনরা উক্ত ফ্যাক্টরীর সামনে উপস্থিত হইলে পরিচিতজনদের সামনেই একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৪০ ঘটিকার সময় তাহাদের উভয়ের মধ্যে হাতাহাতিসহ হুমকি ধমকির ঘটনা ঘটাইয়া চলিয়া যায়। এর কিছুক্ষন পর অর্থাৎ একই তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড চৌরাস্তা সংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর আসামী সাদিকুর রহমান ও আসামী রমজান আলী সহ তাহাদের সহযোগীদের মধ্যে পুনরায় মারামারির সহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

ঐ সময়ে ঘটনাস্থল উক্ত রাস্তা দিয়া বাদী রেহানা বেগম (৪৮) এর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯),সাং-ধলি চাঁদপুর আদর্শ গ্রাম, ডাকঘর-চাঁদপুর, থানা-তজুমদ্দিন, জেলা-ভোলা, বর্তমানে- ক্যান্টিন বয়, মেরিমো কোম্পানী, সিইপিজেড, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম এবং

তাহার নাতি মোঃ নাহিম (১৮) সহ অন্যান্য পথচারীরা আতংকিত হইয়া দিক-বিদিক ছুটাছুটিকালীন বাদীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) কে উক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করিলে বাদীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) এর বুকের ডান পাশে, ডান হাতের কব্জির উপরে এবং ডান পায়ের হাটুর পিছনে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। উক্ত মারামারির ঘটনায় মেহেদী হাসান রিফাত (২২) ও শহিদুল ইসলাম (২৩) নামের দুইজন ব্যক্তিও ছুরিকাঘাতে জখম প্রাপ্ত হইয়াছে মর্মে বাদী জানিতে পারে। বাদীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) এর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে বাদীর নাতি মোঃ নাহিম (১৮) সহ উপস্থিত লোকজন তাহার ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) কে উদ্ধার পূর্বক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া যায়। তথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদী রেহানা আক্তারের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) ইং ০৯/০৫/২০২৪ তারিখ রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় মারা যায়। পরবর্তীতে বাদী থানায় হাজির হইয়া

সাদিকুর রহমান (২৬) এবং রমজান আলী (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামী করিয়া থানায় এজাহার দায়ের করিলে ইপিজেড থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১০/৫/২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয় এবং মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) মহসীন সরদার এর উপর অর্পন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তভার গ্রহন করিয়া অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম মহোদয়, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মহোদয় সহ ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হোসাইন এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে থানাধীন

আকমল আলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া মামলার এজাহার নামীয় আসামী সাদিকুর রহমান (২৬) এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে মোঃ হাফিজুল ইসলাম (২৬) পিতা- মোঃ হাশেম শেখ, মাতা- হাজেরা বেগম, সাং-পোরগোলা (সর্দার বাড়ী), পোঃ- কদমতলী, থানা- পিরোজপুর সদর, জেলা- পিরোজপুর, বর্তমানে- লায়লা ভবন, জানু সওদাগরের দোকান, আবু বক্কর জামে মসজিদের পাশে, সিমেন্ট ক্রসিং, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম কে গ্রেফতার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।