দুর্গাপুর আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা
লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর দুর্গাপুরের পুরো উপজেলা জুরে বিলের ফসলি জমি নষ্ট করে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে আশপাশের বাজার, গুলো ও স্কুলের মাঠ কৃষি জমিসহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় আছেন স্কুল কমিটি বাজার কমিটির দোকানীরা স্থানীয় কৃষকেরা। গত রবিবার সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে দেখা যাচ্ছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ১ নং ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাজার সংলগ্ন বিলে চলছে এই পুকুর খনন।
নিয়ম না মেনে ইউএনওর নাম ভাঙ্গিয়ে আলিপুর বাজার ও আলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল মাঠ সংলগ্ন বিলে কৃষিজমি নষ্ট করে ভেকু ব্যাবসায়ী রবিউলের কর্মচারী মহিদুল ও জিল্লুর বিরুদ্ধে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।
এতে কৃষকেরা জমি হারানোসহ বাজার ও স্কুল কমিটি সদস্যরা স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় আছেন। করছেন। অভিযোগ উঠেছে, গতবছর এই জমিতে বাধার মুখে পুকুর খনন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল এই জিল্লুর।
এবছর সিন্ডিকেট ভাবে স্থানীয় ভেকু ব্যাবসায়ীদের দালালের সহযোগিতায় সকল প্রশাসন ও দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে ম্যানেজ করে পুকুরগুলো খনন করা হচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৩ টি খননযন্ত্র দিয়ে দিনে ও রাতে পুকুরগুলো খনন করা হচ্ছে। এভাবে পুকুর খনন করা হলে তাঁদের প্রায় এক হাজার বিঘা তিন ফসলি জমিসহ বাজার, স্কুলের মাঠে দেখা দেবে জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ হয়ে গেলে বর্ষায় আশপাশের বাড়িঘরেও পানি উঠবে। এ ছাড়া পুকুর খননকারীরা নিজেদের জমির পাশের জমিও দখলে নিয়ে নিচ্ছেন।
এ পুকুর খননকারীরা এলাকার প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। তাঁরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম অপরজন আলিপুর গ্রামের জিল্লুর।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ভেকু দালাল মহিদুল কার খুঁটির জোরে ভেকু দালাল মহিদুল চুক্তি নিয়ে দিন রাত অবৈধ পুকুর খনন করছেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার সকল চিত্র। সে ৫ বছর পূর্বে বিভিন্ন নেতার কাছ থেকে ও এলাকাবাসীকে ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত তার নামে হাফ ডর্জন খানিক মামলা চলমান আছে। তার অত্যাচারে এলাকার নিরীহ লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। টাকা না দিলে মারপিট করতেন। সেই মহিদুল হঠাৎ করেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। প্রশাসন ও সাংবাদিককে ম্যানেজ করে চুক্তি ভিত্তিক বেশ কয়েকটি ৩ ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন করছেন। বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে, দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এতো অভিযোগ যে বলার মতো না, গত কাল মোবাইল কোর্ট দিয়ে গোপিনাথপুরে ২ টি ভেকু মেশিন ভেঙ্গেছি।