যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেপ্তারের পর মুক্তি পেলেন
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ ২০১৬ সালে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অবৈধভাবে অর্থ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফিরে গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে আদালতে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আদালতে হাজির হয়ে পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলবেন।স্টরমির সাথে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখতে ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠলেও ট্রাম্প তা অস্বীকার করেছেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন দু’বার অভিশংসিত হওয়া সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
এর আগে, আদালতে শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ প্রাথমিকভাব প্রমাণ হয়নি।আদালতে ট্রাম্পের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ছিল সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। তবে মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় আদালতের ভেতরে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ডিভাইসের ব্যবহার ছিল নিষিদ্ধ। আদালত ছেড়ে যাওয়ার সময়ও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুক্তি পেয়েছেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে যাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়।তিনি মঙ্গলবার প্রায় এক ঘণ্টা পর আদালত ত্যাগ করেন ।নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকরা বেশ চিৎকার করে প্রশ্ন করলেও জবাব দেননি তিনি।প্রায় দুই ঘণ্টা আদালতে ছিলেন ট্রাম্প। আঙুলের ছাপ দেওয়া ও ছবি তোলাসহ কিছু কার্যক্রমের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন, অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়, নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তিনি নিজের গাড়িবহরে করে আদালত ছাড়েন।আগামী ৪ ডিসেম্বর ট্রাম্পের উপস্থিতিতে এ মামলার শুনানি হবে।ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের অ্যাটর্নি আলভিন ব্র্যাগ আগে
ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি: আমরা অপরাধমূলক আচরণকে স্বাভাবিক করব না, “আপনি যেই হোন না কেন”
ম্যানহাটন জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমপকে বলেন-
“নিউ ইয়র্ক রাজ্যের আইনের অধীনে, প্রতারণার অভিপ্রায়ে এবং অন্য অপরাধ গোপন করার অভিপ্রায়ে ব্যবসায়িক রেকর্ডকে মিথ্যা প্রমাণ করা একটি অপরাধ। এই মামলাটি ঠিক এটিই: অন্যান্য অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ৩৪ টি মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলি অপরাধমূলক অপরাধ নিউ ইয়র্ক রাজ্য,” তিনি বলেন।