পেট্রাপোল বর্ডারে চালু করা হলো ইমিগ্রেশন স্লট বুকিং সেবা
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে উদ্বোধন হলো ওয়েবসাইটের। উদ্বোধন করেন ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এলপিআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র।সহ পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি।
পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন,পাসপোর্ট যাত্রী ভারত থেকে বাংলাদেশে যেতে চান, তারা এক সপ্তাহ আগে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে ঘরে বসে ওয়েবসাইটে ইমিগ্রেশনের স্লট বুকিং করতে পারবেন। বুকিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় পেট্রাপোল বন্দরের অভিবাসন দপ্তরের কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। যাত্রীরা তাদের সুবিধামতো স্লট বুক করে সরাসরি ইমিগ্রেশন এর কাউন্টারে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তাদেরকে আর সীমান্তে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।
এছাডাও কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ টি স্লট বুক করা যাবে। প্রাথমিকভাবে একদিনে ১২ ঘণ্টার ১২০০ টি স্লটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, আজ থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাত্রীরা ফ্রিতে স্লট বুক করতে পারবেন। পরে অ্যাপস চালু হবে। যাত্রীদের মসৃণ ভাবে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ভারত থেকে যেসব পর্যটক বাংলাদেশে যাবেন, তাদের জন্যই এই স্লট বুকিং এর ব্যবস্থা থাকছে। এব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। তারা মনে করছেন দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। কারণ এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে পেট্রাপোল গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হতো। ঝড়-বৃষ্টি গরমে তারা অসুস্থও হয়ে পড়ত অনেক সময়।
সাধন সাহা নামে ভারত থেকে আসা এক বাংলাদেশী যাত্রী বলেন, আমরা আশা করছি এই ব্যবস্থা চালু হলে আমাদের দুর্ভোগ কমবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। তবে যাওয়ার সময়ও একই ব্যবস্থা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
সুব্রত নামে বাংলাদেশগামী এক ভারতীয় যাত্রী বলেন, এলপিএআই এর পক্ষ থেকে যে স্লট বুকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে আগামীতে বাংলাদেশের আসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধা হবে। দীর্ঘ সময় লাইনে ধরার ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। আগামীতে আগে থেকেই স্লট বুকিং করে আসবেন বলেও জানান তিনি।