ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১১:৪২ অপরাহ্ন

স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- গৌরীপুরে শরিফ হাসান

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, December 18, 2020 - 2:44 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 149 বার

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, দলের দুঃসময়ের নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হাসান অনু বলেছেন, 

মীরজাফর, আল বদর, আল শামসদের উত্তরাধিকার এখনও এদেশে বিচরণ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি ১৬ই ডিসেম্বর রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১০নং সিধলা ইউনিয়নে বাংলার মুখ বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সিধলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলার মুখ বঙ্গবন্ধু আদর্শ স্মৃতি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন খাঁন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোহেল রানা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ রানাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি শরীফ হাসান অনু বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা নারীদের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে যেমন মীরজাফর, ঘুষটি বেগমদের কারণে বাংলা ব্রিটিশদের কাছে হাতছাড়া হয়েছিলো, তেমনি স্বাধীনতা যুদ্ধেও মীরজাফর, ঘষেটি বেগমদের প্রেতাত্মা এদেশীয় কিছু মানুষের উপর ভর করেছিলো। দেশবিরোধী এসব রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে নগ্ন আতাতের কারণে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হতে কিছুটা দেরী হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনে তারা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা অবিসংবাদিত। তাঁর ডাকে এদেশের সাধারণ মানুষ, নারী-পুরুষ, কৃষক-শ্রমিক, আলেম-উলামা, জ্ঞানী-গুণী, ছাত্র-জনতা নির্বিশেষে সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ৩০লক্ষ শহীদের তাজা রক্ত ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে এই মহান বিজয় অর্জিত হয়েছিল।

এসময় তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুর কষ্টের ফসল বিজয়ী বাংলাদেশ যখন তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রুল মডেল হিসাবে বিশ্বে সুনাম অর্জন করে চলছে ঠিক তখনই সেই পরাজিত শক্তিরা দেশবিরোধী চক্রান্তে ও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠছে। যার অবদানে বাংলার বিজয় আজকে তারই ভাষ্কর্য ভাংচুর হচ্ছে। তিনি বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে. স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। এসময় অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও উপস্থিত ছিলেন।