ঢাকা | জানুয়ারী ১০, ২০২৫ - ৪:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

অবশেষে ফুলবাড়ীর আঁখিরা বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, November 7, 2023 - 1:49 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 53 বার

মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:অবশেষে শহীদদের স্বরণে নির্মিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আঁখিরা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন করা হলো।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাইহাট সংলগ্ন আঁখিরা নামক স্থানে নবনির্মিত এ বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে আঁখিরা বধ্যভূমির উদ্বোধন করেন সাবেক মন্ত্রী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।

জানাগেছে,১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ এপ্রিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারাই আঁখিরা এলাকার চিহ্নিত রাজাকার কেনান সরকার দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর- কিশোরীকে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পাকিস্তানী খানসেনাদের হাতে তুলে দেয়। পরে খানসেনারা তাদের সবাইকে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাইহাট সংলগ্ন আঁখিরা নামক স্থানের পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই সব বীর শহীদদের স্বরণে উপজেলার আঁখিরা বধ্যভূমিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারী গণপূর্ত বিভাগের তত্বাবধায়নে ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ টাকা ব্যায়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়, যা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত সুধি সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো: আল কামাহ তমালের সভাপতিত্বে, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন, দিনাজপুর গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল,ফুলবাড়ী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। এসময় স্থানীয় সুধিজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দিন জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ এপ্রিল ফুলবাড়ী উপজেলার চিহ্নিত রাজাকার কেনান সরকার দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর- কিশোরীকে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পাকিস্তানী খানসেনাদের হাতে তুলেদিলে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাইহাট সংলগ্ন আঁখিরা নামক স্থানের পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তাদের ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই সব বীর শহীদদের স্বরণে এ বদ্ধভুমি নির্মান করা হয়েছে,যা আমাদের দির্ঘদিনের দাবী ছিল। এই স্মৃতিস্তম্ভ যুগযুগ ধরে কালে সাক্ষি হয়ে থাকবে,যা থেকে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে।