ঢাকা | জানুয়ারী ১২, ২০২৫ - ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ফুলবাড়ীতে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল দুইদিন বন্ধ ঘোষণা

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Monday, January 22, 2024 - 2:45 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 44 বার

মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:উত্তরের সীমন্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। বর্তমানে এ জেলা দিয়ে বইয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। অতিরিক্ত শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল বন্ধ থাকার কথা। সে অনুযায়ী জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল গুলো দুইদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২২ জানুয়ারী) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর জেলায়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানাগেছে, সোমবার জেলায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এসময় বাতাসে আদ্রতার মাত্রা ছিল ৮৮ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ছিল ২ নটস।

এদিকে তাপমাত্র কমে যাওয়ায় সোমবার (২২ জানুয়ারী) জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আগামী দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্বস্ব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
সোমবার উপজেলা প্রাথমকি শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উত্তরাঞ্চল দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে অনেক শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে, এ কথা বিবেচনা করে রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মহপরিচালকের সাথে পরামর্শ ক্রমে আগামী দুইদিন মঙ্গলবার ও বুধবার জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রম সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূর আলম জানান, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২৩ ও ২৪জানুয়ারী দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ ঘোষনা দিয়েছেন।

এদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় হিমেল হাওয়া আর রাতে ঘন কুয়াশায় ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ছে। তবে মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জনান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় সরকারি বরাদ্দের ৪ হাজার ৭৬৪টি কম্বর বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় আরও কম্বলের চাহিদা দেওয়া হয়েছে পেলেই বিতরণ করা হবে।