কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:*মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ আবুল খায়ের (৭০)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধাপরাধী মোঃ আবুল খায়ের (৭০) সহ অন্যান্য সশস্ত্র রাজাকার ও পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে নোয়াখালি জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বুদ্ধিজীবী ডঃ রমেশ চন্দ্র সেনকে হত্যা সহ স্বাধীনতাকামী মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা সাতজনসহ মোট ১০ জন ব্যক্তিকে হত্যা করে ।

এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্তৃক একটি মামলা যার কমপ্লেইন্ট রেজিঃ ক্রমিক-৮৭, তারিখ-১২/১১/২০১৭ ইং, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) মিস. মামলা নং-০৪/২০২১ রুজু হয়। গত ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখ যুদ্ধাপরাধী মোঃ আবুল খায়ের (৭০) এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামী দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যুদ্ধাপরাধী পলাতক আসামী মোঃ আবুল খায়ের (৭০)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১০ এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

৩। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ ডিএমপির উত্তরা (পশ্চিম) থানাধীন আহালিয়ার মাস্টার গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মোঃ আবুল খায়ের (৭০), পিতা-মৃত দানা মিয়া, মাতা-মৃত রহিমা খাতুন, সাং- চর ফকিরা, থানা- কোম্পানিগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালি কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর হতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-১০ এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।