পটুয়াখালীতে কৃষক দলের নেতা টিটুর নির্দেশে জমি দখল বসতঘড়ে হামলা ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্টারঃ-পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের বাজারঘনা ৮ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আঃ লতিফ হাওলাদারের বসতবাড়ি ভাংচুর সহ ধানিজমিন দখলের নেপত্য পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে।
গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় এই নেক্কার জনক ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী আঃ লতিফ হাওলাদার ঘটনার বরাত দিয়ে বলেন, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে বিএনপির কৃষক দলের নেতা মনিরুজ্জামান টিটুর পেটোয়া বাহিনী বাড়িতে হামলা চালায়। এবং দেশীয় অস্ত্র দা, কাচি ও কুড়াল দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে যায়, দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় কোথাও অভিযোগ দিতে পারিনী, এরই ধারাবাহিকতা গত ৪ সেপ্টেম্ব পুনরায় একই স্থানের বাসিন্দা মোঃ আমির হোসেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হানিফ মিয়া, মতি হাওলাদার, নিজাম গাজী সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ বসত বাড়ি ভাংচুর করে ধানি জমিন দখল করে নিয়ে যায়, বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।
স্থানীয় শহিদুল হাওলাদার বলেন, আমি ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদারে ভাতিজা, ঘটনার দিন হামলাকারীরা আমারও ধানী জমিন দখল করে, তাছাড়া হামলাকারিদের অনেকের সাথে ভুক্তভোগীর জমি রিরোধ রয়েছে, কিন্তু আমার জমি দখল করলো কেনো বুঝতে পারছিনা, এছাড়াও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা টিটুকে সমর্থন না করায় আমাদের উপর এই নির্মম অত্যাচার করা হয়।
ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদার বলেন, ইউপি নির্বাচনে সমর্থন না করায় এই পরিস্থিতি হয়েছে, তাছাড়া হামলাকারীদের এক জনের সাথে পূর্ব থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে, এজন্য গত ৫ আগষ্ট তারা বেছে নিয়েছে, এখন দেশে বিচার নেই, আমি কার কাছে বিচার দিবো, হামলাকারিদের ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমাতে পাড়িনা, আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম, আর যদি টিকতেই না পারি বাবার বসত ভিটা ছেড়ে দুরে কোথাও চলে যাবো।
এব্যাপারে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান টিটুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদারের ছেলে আশ্রাফ হাওলাদার পূর্বে ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, তাছাড়া যারা তাদের বাড়িতে হামলা করেছে তাদের সাথে পূর্ব থেকে জমি নিয়ে বিরোধ আছে, আমার দলের কোন লোক এই ঘটনার সাথে জড়িত না, তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যপারে বিএনপি নেতার সাথে মুঠো ফোনে আলোচনা করার পরপরই ঢাকা থেকে একটি ফোন আসে যার মোবাইল নম্বর (01614684643) তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা টিটুর লোকজন দেখেছে বলে আপনাদের জানিয়েছে, আপনারা নিউজ করেন কিন্তু টিটুর নামটি উল্লেখ করা দরকার নেই বলে গণমাধ্যম কর্মীদের মৌন থ্রেট করেন, তাছাড়া স্থানীয় ভাবে অনেকেই নিউজের ভেতর বিএনপি নেতা টিটুর নাম প্রকাশ না করার জোর অনুরোধ করেন।