ঢাকা | জানুয়ারী ১১, ২০২৫ - ১১:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তার দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Monday, September 9, 2024 - 3:53 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 19 বার

স্টাফ রিপোর্টারঃমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষকে জিম্মি করে নির্ধারিত ফি চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উদ্যোক্তা সামসু মিয়া ও তার সহযোগী নাহিদ এর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের যাত্রা শুরুর পর থেকে উদ্যোক্তা একই ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের মৃত মোঃ মনাফ মিয়া ছেলে সামসু মিয়া ও তার স্ত্রী হ্যাপি বেগম প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের জনসাধারনের মাঝে ডিজিটাল তথ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তা যেন রাঘব বোয়াল গিলে খাচ্ছে।

জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, ভিজিডি র্কাডের আবেদনের জন্য, অতিরিক্ত টাকা আদায়, অসদাচারণ, অসম্পূর্ণ কাজ, অদক্ষতা সহ সেবা কেন্দ্রে সঠিকভাবে সময় না দেওয়ায় অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকার কারনে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে সেবার বিনিময়ে মিলছে অতিরিক্ত ফি সহ হয়রানি। জরুরি প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে এসব অনিয়ম সহ্য করছেন এলাকার সাধারন মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় উদ্যোক্তা সামসু মিয়া গ্রামের সাধারন মানুষের কাছে সেবার নামে সাধারন ব্যবাসায়ীদের চেয়ে বেশী টাকা আদায় করছেন। যদি কোন সেবা গ্রহীতা অতিরিক্ত টাকা দিতে আপত্তি জানায় তাহলে তার সাথে অসৎ আচরণ সহ ঝগড়াঝাটি, এমনকি মারধর করতেও দ্বিধাবোধ করেন না সামসু মিয়া।

গ্রাহকদের সাথে অন্যায় আচরণ যেন তার নিত্য দিনের সঙ্গী। জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম নির্ধারিত ৫০ টাকার বদলে নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা, জরুরি প্রয়োজনে কেউ জন্ম সনদ নিতে চাইলে ফি গিয়ে ধারায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। জন্ম সনদের ভুল সংশোধন করতে আসা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এমনকি সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়াই ফাই দিয়ে চলছে ইন্টারনেট বাণিজ্য, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ১ থেকে ২ শত টাকা নিয়ে ওয়াই ফাই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি প্রতিবাদ করে সামসু মিয়ার কাছে হেনস্তার স্বাীকার হয়েছেন। কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের অনেকেই জানান জনপ্রতিনিধিরাও সামছু মিয়ার কাছে অসহায় জনগণের কাছ থেকে বেশি টাকা না নেওয়ার সুপারিশ করলে ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের উদ্যােক্তা হ্সামসু মিয়ার কাছে কোন মূল্য পান না, ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা সাধারণ মানুষ তার কাছে আমাদের কোন মূল্য নেই, ইউনিয়নের পরিষদে সদস্য হওয়া সত্বেও যদি তারা সামছু মিয়ার কাছে কোন মূল্য পান না,  তাহলে সাধারণ জনগণ কি মূল্যায়ন পাবে।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানাজায় দীর্ঘদিন ধরে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন সামসু মিয়া ও তার সহযোগীরা।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, যা হয়েছে আমার অজানা অবস্থা হয়েছে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও ওয়াই ফাই ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোক্তা সামসু মিয়ার বিষয়ে প্রয়োজন ব্যবস্থা নিবো।