রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাইডেন -ট্রাম্প প্রশাসনের কারণে
৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্রিফিং পাননি বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত নির্বাচনে জেতার পর থেকেই পদে বসার আগ পর্যন্ত এসব ব্রিফিং পান বিজয়ী প্রেসিডেন্ট। এগুলোকে ক্ষমতা হস্তান্তরের রুটিনকাজ ধরা হয়।
বাইডেন বলেন, “প্রতিরক্ষা বিভাগ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে আমাদের টিম ‘রোড ব্লকের’ সম্মুখীন হচ্ছে। এখন আমরা বিদায়ী প্রশাসনের কাছ থেকে জাতীয় নিরাপত্তা খাতের প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাচ্ছি না। এটা খাটো কোনো বিষয় নয়। আমার মতে, এগুলো দায়িত্বহীনতা। আমাদের নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সংস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকগুলোর অভ্যন্তরে দক্ষতা ও নৈতিকতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’
বাইডেনের বক্তব্যের পর ট্রাম্প প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিসটোফার মিলার বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছেন।
মিলার বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ ৪০০ কর্মকর্তার ১৬৪টি সাক্ষাৎকার এবং পাঁচ হাজারের বেশি পৃষ্ঠার নথি দেওয়া হয়েছে। বাইডেনের ক্ষমতা হস্তান্তর টিমকে এসব চাওয়ার আগেই সরবরাহ করা হয়েছে।’
ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, “বাইডেনের টিমের কাছে পেন্টাগন ‘পুরোপুরি স্বচ্ছ’।”
নির্বাচনের পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনে সামরিক বাহিনী মোতায়েনে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে অমত করেছিলেন মার্ক এসপার।