খুঁটির কাছে পৌঁছে গেছে স্প্যান
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি একটি ভাসমান ক্রেনে করে খুঁটির কাছাকাছি নেওয়া হয়েছে। ৪১তম এই স্প্যানটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির (পিলার) ওপর বসানো হবে। আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হচ্ছে।
স্প্যানটি খুঁটি থেকে ২০ মিটার দূরে ভাসমান ক্রেনে রাখা ছিল। সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি নিয়ে খুঁটির দিকে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্প্যান নিয়ে ভাসমান ক্রেন খুঁটির কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
স্প্যানটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে।
বসানোর জন্য স্প্যানটিকে ইতিমধ্যে প্রায় খুঁটির সমান উচ্চতায় তোলা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্প্যান বসাতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
আজ সর্বশেষ স্টিলের কাঠামো (স্প্যান) বসানোর মাধ্যমে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় কাজের সমাপ্তি হবে। ৪১তম স্প্যানের জোড়া লাগানোর মাধ্যমে পদ্মার দুই পাড়ও যুক্ত হয়ে যাবে।
অর্থাৎ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হচ্ছে। এরপর সড়ক এবং রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সরকার আগামী বছরের ডিসেম্বরে সেতুটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসেছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।
সাধারণত সেতু স্টিলের অথবা কংক্রিটের হয়। কিন্তু পদ্মা সেতুটি হচ্ছে স্টিল ও কংক্রিটের মিশ্রণে। সেতুর মূল কাঠামোটা স্টিলের, যা স্প্যান হিসেবে পরিচিত। খুঁটি ও যানবাহন চলাচলের পথ কংক্রিটের। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য দেড় শ মিটার। ৪২টি খুঁটির সঙ্গে স্প্যানগুলো জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে পুরো সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে।
পদ্মার মূল সেতু অর্থাৎ নদীর অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। অবশ্য দুই পারে আরও প্রায় চার কিলোমিটার সেতু আগেই নির্মাণ হয়ে গেছে। এটাকে বলা হয় ভায়াডাক্ট। এর মধ্যে স্টিলের কোনো স্প্যান নেই।