মেয়র তাপসের বিষয়ে সাইদ খোকনের বক্তব্য ব্যক্তিগত : তথ্যমন্ত্রী
নবোদয় প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিষয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই মির্জা আবদুল কাদের বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন, এদিকে ঢাকায় দক্ষিণ সিটি মেয়র ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন, এতে দলীয় শৃঙ্খলায় কোনো ঘাটতি তৈরি হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমতো মেয়র তাপসের বিষয়ে সাঈদ খোকন বক্তব্য দিয়েছেন এগুলো তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে দলের কোনো কিছু নেই। আর নোয়াখালীতে মির্জা কাদের সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদের দলে এ রকম বক্তব্য বহু আগে অনেকেই দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দলে মুক্তভাবে কথা বলার অধিকার সবার আছে। তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে মির্জা কাদের সাহেবের বক্তব্য। কিন্তু আগের বক্তব্যগুলো এত প্রকাশ হয়নি। কারণ তখন যারা বক্তব্য দিয়েছে তারাতো দলে সাধারণ সম্পাদকের ভাই ছিল না। এখন যেহেতু সাধারণ সম্পাদকের ভাই বক্তব্য দিয়েছে এ জন্য এগুলো প্রতিদিন প্রচার পায়। এই হচ্ছে পার্থক্য। তবে তার বক্তব্যে এটা প্রকাশ পায় যে আমাদের দলে যে মনে খোলে কথা বলতে পারে সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মধ্যে আজ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। অর্থাৎ যে দিন স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল যেদিন স্বাধীনতার মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে। এই দিবসটিতেও তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যা তারা যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে আদৌ বিশ্বাস করে কি না সেটা নিয়ে যে জনমনে প্রশ্ন আছে? সেটার উত্তর দিয়েছেন আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়ে। অর্থাৎ তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
সাগর-রুনি হত্যার বিচার চেয়ে ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, আমাদের সংগঠনের দুইজন সদস্য সাগর-রুনি হত্যার বিচার আমরা এখনও পাইনি। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিক সমাজে দাবিটি রয়েছে। তথ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার হচ্ছে। এই অপব্যবহার রোধের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান বলেন, আমরা নতুন কমিটি একটি টার্গেট নির্ধারণ করেছি, সেটি হলো স্বাবলম্বী ডিআরইউ। এ কাজটি একদিনে হবে না। আমরা মনে করি এক্ষেত্রে তথ্যমন্ত্রীর বিরাট ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তাই জাতীয় বাজেটে তথ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে একটি বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তিনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সহ-সভাপতি ওসমান গণি বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর, দফতর সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. নঈমুদ্দীন, কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম জসিম, আজিজুর রহমান, রুমানা জামান, মো. মাহবুবুর রহমান, রফিক রাফি, নার্গিস জুঁই ও জাহাঙ্গীর কিরণ।