প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রথমদিন যেসব পদক্ষেপ
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) প্রতিনিধিঃ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন নির্দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন জো বাইডেন। এর পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারি মোকাবিলায়ও তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় না থেকে নির্বাহী আদেশবলে ১০-দিনের তড়িৎ পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের আবহ থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন দিশা দিতে চান জো বাইডেন।
প্রথমদিন যেসব পদক্ষেপ নেবেন : প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই মুসলিম-প্রধান কয়েকটি দেশ থেকে অভিবাসনে ট্রাম্পের দেওয়া বিধি-নিষেধ তুলে নেবেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরত যাবেন বাইডেন। এ ছাড়া ফেডারেল কার্যালয়গুলোতে এবং এক অঙ্গরাজ্য থেকে অন্য অঙ্গরাজ্যে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি শিক্ষাঋণ আদায়ে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরো বাড়াবেন। যাঁরা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাঁদের যেন ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ না করা হয় সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেবেন বাইডেন।
সিনিয়র স্টাফের প্রতি বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইনের লেখা চিঠিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, বাইডেনের এসব নির্বাহী আদেশ সংকটকালে সংগ্রামরত লাখ লাখ আমেরিকানের মুক্তি মিলবে।
এ ছাড়া প্রথম অফিসের দিন আগামী বুধবার বাইডেন একটি অভিবাসন সংস্কার বিল আনতে পারেন বলেও জানান রন ক্লেইন। পরের দিন বৃহস্পতিবার তিনি করোনা-সংক্রান্ত আদেশে সাক্ষর করতে পারেন। এতে স্কুল কলেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত থাকবে। এর পরদিন শুক্রবার মহামারির কারণে যারা আর্থিকভাবে ভুগছেন তাদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টি দেখবেন।
ক্লেইন বলেছেন, পরের সপ্তাহে জো বাইডেন অপরাধ বিচার সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন নিয়ে উদ্যোগী হতে পারেন। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের যাঁরা পরিবারহারা হয়েছেন, তাঁদের মিলন তরান্বিত করতে সরাসরি আদেশ দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে বেশকিছু নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন। ট্রাম্পও তেমনি করেছিলেন, কিন্তু তাঁর বহু আদেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এমনকি আদালতও কিছু কিছু বাতিল করে।
বাইডেনের বেলায় তেমনটি হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ক্লেইন। এসব আদেশের বিপরীতে সুপ্রতিষ্ঠিত আইনি তত্ত্ব রয়েছে এবং এগুলো প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়িত্বের আওতাধীন।