ঢাকা | জানুয়ারী ১৩, ২০২৫ - ১১:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, মনোনয়নের দৌড়ে আ’লীগের একাধিক হেভিওেয়েট প্রার্থী

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Monday, April 10, 2023 - 1:14 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 102 বার
তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলাটি জেলা শহর থেকে মাত্র ১৪ কি.মি উত্তরের রাংসা নদী বিধৌত রাজনৈতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ একটি উপজেলা। রাজনৈতিক প্রভাববলয়ের মাঝে থাকা উপজেলাটির আসন্ন নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার আবাস মিলছে এখন থেকেই।
রয়েছেন একাধিক প্রার্থী।সমালোচকদের মতে দলের পদপদবীধারী হেভিওয়েটদের ঘিরে চলছে আলোচনা, বিচার বিশ্লেষণ।দলটির সভাপতি,সাধারণ-সম্পাদক,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক,সাংগঠনিক সম্পাদক,,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক,শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদকসহ অন্তত ১২ জন আ’লীগ নেতা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দ্বৈরথে নেমেছেন।আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রার্থীতা ঘোষণার পাশাপাশি ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করছেন তারা।
৫ বারের জাতীয় সংসদ সদস্য ১ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামসুল হক,বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ অসংখ্য দেশ বরেণ্য ব্যক্তির স্মৃতি বিজরিত উপজেলাটিতে এখন পর্যন্ত ৩ বার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।পরবর্তীতে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে উপজেলাটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।সেই নির্বাচনে জয়লাভ করেন বিএনপির মোতাহার হোসেন তালুকদার।তৃতীয়বারের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হন বর্তমান চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান আইনজীবি আ’লীগের এডভোকেট ফজলুল হক।সেই হিসেবে উপজেলাটি তিনজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান পেয়েছে।
তারাকান্দায় ভোটাররা সাধারণত বিভক্ত দুটি দলে।বড় দুটি রাজনৈতিক দল যথা উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আ’লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) এর সমর্থকই বেশী।এ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলেও দেখা গেছে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী দুইবার এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী একবার নির্বাচিত হয়েছেন।কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে জানাগেছে,যোগ্য ব্যাক্তিকেই নির্বাচিত করার কথা বলছেন তারা।শিক্ষিত,মেধাবী,বিচক্ষণ,দরদী প্রার্থীই বেশী পছন্দ তাদের।তবে নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন সাম্ভাব্য প্রার্থী জানান,দলীয় সিদ্ধান্ত,দলের নীতিনির্ধারকদের পছন্দ বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে তাদের প্রার্থীতার ব্যাপারে।কয়েকজন জানিয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করবেননা তারা।এদিকে ইতিমধ্যেই কিন্তু তাদের গণসংযোগ অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছে বলেই পরিলক্ষিত হয়েছে।আপাতত দুআ ও কোশল বিনিময়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন তারা।
এ পর্যন্ত আসন্ন তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌড়ে অংশ নিবেন বলে আলোচনা হচ্ছে, তারা হলেন,বর্তমান তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক,উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর,উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বাবুল মিয়া সরকার,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম রাজু,সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া,বর্তমান উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন ,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃহাবিবুর রহমান হাবিব, উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এবং তারাকান্দা বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি নূরুজ্জামান সরকার বকুল মাস্টারসহ সায়ের আলমগীর সরকার টুটুল মাস্টার প্রমুখ।জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ মাসুদ তালুকদার।জমিয়তে উলামায়ে
ইসলামের বাংলাদেশ প্রার্থী হিসেবে মাওঃ খায়রুল ইসলাম মন্ডল
এদিকে,ভাইস-চেয়ারম্যান পদে শামীম চৌধুরীর কথা বলছেন ভোটাররা।মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান সালমা আক্তার কাকন ও হাসনা বেগম বেবী গনসংযোগ করছেন বলে জানা গেছে।তারা দুজনই আ’লীগের পরস্পর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী।
নির্বাচনে আ’লীগের মনোয়ন পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট ফজলুল হক বলেন,আমি ছাত্রজীবন থেকে আ’লীগের রাজনীতিতে নিজেকে যুক্ত রেখেছি।বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।দায়িত্ব পালনকালে সকলের পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছি।আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নীতিনির্ধারকগণসহ অত্র জনপদের আশা-ভরসার প্রতীক বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আমার উপড় আস্থা রাখবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর বলেন,আমি প্রবীণ এই রাজনৈতিক দলটির রাজনীতিতে ছিলাম ভাষাসৈনিক একুশে পদকপ্রাপ্ত ফুলপুর-তারাকান্দার অবিসংবাদিত নেতা মরহুম এম শামসুল হকের সহচর ।উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দল আমার উপড় আস্থা রাখলে আমি দলকে আস্থার মর্যাদা দানে সচেষ্ঠ থাকব।
উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব বাবুল মিয়া সরকার বলেন,আগামী উপজেলা নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দলকে বিজয়ী করতে পারবো ইনশাল্লাহ।এই ব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অত্র জনপদের মা-মাটি ও মানুষের প্রিয়মুখ জননেতা জনাব শরীফ আহমেদের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হস্তক্ষেপ আশা করি।আমি তারাকান্দায় উনাদের আদর্শে পথ চলছি।আমাকে মনোনয়ন প্রদান করলে আমি তারাকান্দাবাসির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেব।
উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,২৫ বছর যাবৎ আমি আ’লীগের রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছি।ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং বর্তমান আ’লীগের কমিটিসহ অন্যান্য দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছি।দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আমি উপজেলাবাসীর সেবা করতে চাই।
এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নূরুজ্জামান সরকার বকুল মাস্টার বলেন,আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেব।ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ফুল-তারার অবিসংবাদিত নেতা মরহুম শামসুল হকের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি।এখনও দলটির জন্য কাজ করে চলেছি।বিগত তিনটি নির্বাচনেই আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি।একবার নির্বাচনেও অংশ নিয়েছি।আশা করছি দল আমার উপড় আস্থা রাখবে।নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ পাবো।