ফারুক আহমেদ,ধর্মপাশা:সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় আকস্মিক অগ্নিকান্ডে এক কৃষকের বসতঘর, ঘরে থাকা গোলার ধান, নগদ টাকাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ছাই। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ (১১মে) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের জমশেরপুর গ্রামের কৃষক নিবারণ সরকারের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিবারণ সরকার ঐ গ্রামের রঘুমন সরকারের ছেলে।

জানা যায়, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখে দৌড়ে এসে গ্রামীণ সরঞ্জামাদি বালতি, মগ, কলসি ইত্যাদি দ্বারা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আশপাশের কোন বাড়িতে আগুন ছড়াতে পারেনি এবং আগুন লাগার সুত্রপাৎ এখনো জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বসত ঘরের মালিক নিবারণ সরকার বলেন, কারিতে (গোলায়) থাহা ফায় (প্রায়) ১৫০ মইণ (মণ) ধান, নগদ ৪০হাজার টেকা (টাকা), সোনার অলংকারপাতি, দলিলফত্ব (দলিরপত্র), আইসবাবফত্ব (আসবাবপত্র) সহ অসংখ্য ফয়োজনীয় (প্রয়োজনীয়) জিনিস ফুইর‍্যা (পুড়ে) ছাই অয়্যা (হয়ে) গেছে। অহন (এখন) আমি হেগরে (পরিবারের সদসদের নিয়ে) নিয়্যা কি খাইয়্যা (খেয়ে) থাকবাম (থাকবো) আর এই ঘর বান্ধনের (বাঁধার জন্য) লাইগ্যা অহন আমি অত টেকা (এত টাকা) কই পাইয়্যাম (পাবো)।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনে এখন স্পটে যাচ্ছি। তবে কৃষক নিবারণকে গৃহ পুনঃনির্মাণের জন্য সরকারি কোনো নগদ অর্থ অনুদান দেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণত এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তো স্পটে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছ থেকে যদি কোনো অনুদান পায় তা ওই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের হাত তুলে দেওয়া হবে।