ভালুকার উন্নয়নের মেয়র কাইয়ুমকে নিয়ে আবারো ঐক্যবদ্ধ পৌরবাসী
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে আবারও মেয়র পদে সর্বমহলের মাঝে আলোচিত হয়ে আছেন পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় বর্তমান মেয়র,উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পৌর এলাকার সর্বস্তরের জনতার আস্থা, তরুণ রাজনীতিবিদ ডাঃ এ কে এম মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম।
তিনি গত দুই বার ধরে মেয়র পদে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়নে ভূমিকা রেখে মানুষের নজর কেড়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ ভালুকার জনপদের মানুষকে একটি মানবিক পৌরসভার উপহার দিতে কাজ করছেন । মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম একজন জনবান্ধব রাজনীতিবিদ ও সাধারন গরীব দুঃখী, মেহনতি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করা মরণ ব্যাধী করোনা ভাইরাস এর কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যখন পৌর এলাকার গরীব অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে ভুগছেন ঠিক তখনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌছে দিয়েছেন ত্রাণ সহায়তা। সাধারন মানুষ কে মহামারি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে জনসচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা, মাইকিং,করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। শুধু পৌর এলাকাতেই নয় ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নেও অসহায় মানুষের মাঝে তিনি পৌছে দিয়েছেন তার উপহার সামগ্রী। শুধু ত্রাণ সামগ্রী বিতরন নয়, তিনি এমবিবিএস,এফসিজিপি,ডিএনও (সনোলজিস্ট) বিষয়ে ডাক্তার হিসাবে উত্তীর্ণ বিধায় মেয়র পদে থাকার পরও মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গরীব হত-দরিদ্র অসহায়দের পাশে দাড়ানোর ফলে ভালুকায় সর্বমহলে একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
পৌরবাসীর স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করণে বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশ স্প্রে করা সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি। করোনা ভাইরাস যাতে বিস্তার লাভ না করতে পারে তার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় জনসাধারণ কে সর্তকতা করেন। ডাঃ মেজবাজ উদ্দীন কাইয়ুমের বিচক্ষন চিন্তা ভাবনা ও সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ড ইতোমধ্যে জনগনের নজর কেড়েছে। ভালুকা পৌরসভার প্রধান সড়কপথের ভাঙ্গা স্থানে সরকারী অর্থায়নের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে তৈরি করেছেন রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভাট। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার রয়েছে অফুরন্ত শ্রদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের নামে নির্মাণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সড়ক। পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে তাকে পাশে পায় বলেই তিনি সকলের কাছে প্রিয় ।ইতিমধ্যে তিনি নিজ পৌর এলাকা ছাড়াও পুরো ভালুকা উপজেলায় একজন আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যাক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
মেয়র মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম জানান-আমি নেতা হতে চাই না,জনগনের সেবক হতে চাই। যখন থেকে বঙ্গবন্ধু কে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে জড়িত, অতএব আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ও তার দেখানো পথে আসতে চাই ইনশাআল্লাহ। আগামি পৌরসভা নির্বাচনে আমি আবারও মেয়র পদে ভোটের মধ্যে দিয়ে জনগনের সেবক হতে চাই।এর ভিতরে অপকৌশলীরা থেমে নাই যাতে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারি, তিনি আরো বলেন যে, একজন জনপ্রতিনিধি কখনোই তার নিজের ভিতর সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। তাই আজ আমি আপামর জনসাধারণ এর জন্য নিজেকে বিসর্জন দিতে প্রস্তত।
ভালুকা পৌরসভার উন্নয়নের রূপকার পৌর পিতা মেয়র মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করে গত দুই মেয়াদে পৌর এলাকার অসংখ্য কাচা রাস্তা পাকা করন,পৌর শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ করোনা মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরন করে কোভিঢ-১৯ মোকাবেলায় সাহসী যুদ্ধা হিসাবে ভালুকা পৌরবাসীর পাশে রয়েছেন।
ডেঙ্গু নিধন কার্যক্রম,পৌর শহর জীবানুমুক্তকরন,
ঘরবন্ধী অসহায় মানুষের মাঝে চাল,ডাল,তেল,সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণ, রাতের নিরাপত্বায় পৌর শহর লাইটিং,সহ অনেক উন্নয়ন কাজ করে তিনি ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসী আবারও তাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন,মেয়র মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম কে আবারও মেয়র পদে বিশাল ব্যাবধানে বিজয়ী করতে। তার পক্ষে দলীয় মনোনয়নেরও দাবী উঠেছে ভালুকার সর্বমহলে।