ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১:২৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

মিত্রতেঁতুলিয়ার শিশুধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Friday, December 18, 2020 - 9:00 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 173 বার

আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : আশাশুনির তেঁতুলিয়ার আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ১৭ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা করে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে থানাপুলিশ।

গত রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে আশাশুনি থানার ১১(৯)২০ ও জিআর- ২১৭/২০ নং- মামলার ৩১ নং চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, ডাক্তিরী পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ভিকটিমের ধর্ষণ সংক্রান্তে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. এহেছেন আরা এর তত্ত্বাবধানে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ভিকটিমের বয়স অনুযায়ী (৯-১০ বছর) পুর্নবয়স্ক আসামী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হলে ভিকটিম শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যা পরীক্ষার সময় পরিলক্ষিত হয়নি এছাড়া উল্লেখিত ঘটনার দিন ভিকটিমের পিরিয়ড চলছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোবাইলের সিডিআর পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মন্টুর অবস্থান ছিল তার বাড়ীতে এবং তেঁতুলিয়া বাজারে। তেঁতুলিয়া বাজার থেকে ঘটনাস্থলের দুরত্ব প্রায় ১.৫ কিলোমিটার।

প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের বর্ণনা মতে অভিযুক্ত মন্টু ঘটনার তারিখ ও সময়ে ঘটনাস্থল বা এর আশেপাশে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া ঘটনার সাক্ষী নুরী ঘটনার দিন ঘটনাস্থল থেকে মন্টুকে চলে যেতে এবং ভিকটিমকে বাড়ী ফিরতে দেখে বলে জানাগেছে। ভিকটিমের চাচা গহর আলী, সাইদ আলী, আকবরসহ একাধিক লোক মামলায় বর্ণিত ঘটনাস্থলের অনতিদুরে কৃষিকাজ করলেও তারা কোন শব্দ বা মন্টুকে ওই এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, মিজানুর রহমান (মন্টু) একজন সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিদ্বন্দীতা করার ঘোষনা করায় তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। আমরা তার মুক্তি চাই এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার প্রাপ্ত তথ্য, স্বাক্ষ্য-প্রমান এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও ভিকটিমের ধর্ষণ সংক্রান্তে মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট গভীরভাবে পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালতে স্পর্শকাতর এ মামলার (১১(৯)২০) চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাহফুজুর রহমান।

প্রসঙ্গত. গত ১৩ সেপ্টেম্বর ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে আশাশুনির সাবেক মেম্বর ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহনগর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা শাহ ইদ্রিস আলীর ছেলে মিজানুর রহমান মন্টুর বিরুদ্ধে (১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে) শিশু (১০) ধর্ষনের অভিযোগ করে আশাশুনি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর সহযোগী হিসেবে আম্বিয়াকে এবং পরবর্তীতে মন্টুকে বাইনতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।