সেতু আছে,রাস্তা নেই !
আরিফুল ইসলাম জয় স্টাফ রিপোর্টার ঃ নেই কোনও রাস্তা। তবুও নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। ফলে তা লাগছে না কোনো কাজে। শুধুই স্থাপনা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি।
ঘটনা কুড়িগ্রামের। সেখানকার রৌমারী উপজেলায় বন্দবেড় ইউনিয়নে জিগ্নীরকান্দা সোনাভরি খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজের সাথে সংযোগ রাস্তা না থাকায় তা এলাকাবাসির কোনো কাজেই আসছে না। সরেজমিনে গিয়ে ব্রিজের দু’ পাশে সংযোগ রাস্তার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে, ব্রিজের পশ্চিম পাশে জমিতে সরিষার ফসলে ভরা মাঠ। ওই জায়গায় আগেও কোন রাস্তা ছিল না বলে গ্রামবাসিরা জানান। তাহলে ব্রিজ হলো কেন!
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্প ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা ২০ পয়সা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনাভরি খালের উপর ব্রিজটি নিমার্ণ করা হয়েছে তার দু’পাশে কোন সংযোগ রাস্তা নেই। জিগ্নীকান্দা সড়ক হতে ব্রিজটির পূর্বমাথা পর্যন্ত একশত মিটার ও ব্রীজটি পশ্চিমপাড় হতে সোনাভরি স্কুল এক কিলোমিটার পর্যন্ত কোন রাস্তা না থাকায় ব্রিজটি অকার্যকরভাবে পড়ে আছে।
জিগ্নীকান্দা গ্রামের জাইদুল ইসলাম নামের একজন জানান, কিছুদিন আগে ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ব্রিজের দু’মাথায় সংযোগ সড়কের কোন চিহ্ন নেই। তবুও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এটা আমাদের কোন কাজে আসছে না।
স্থানীয় সোনাভরি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বলেন, ঝুনকিরচর, জিগ্নীকান্দা, পূর্ব খনজনমারা গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী জমির আইল দিয়ে হেটে স্কুলে আসে। ব্রিজ হয়েছে কিন্তু রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী তার কোনো সুফল পাচ্ছে না।
দবন্দবেড় ইউনিয়ন পরিষত চেয়ারম্যান এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, এক সময় সেখানে রাস্তা ছিল। বর্তমানে রাস্তা নেই। তারপরেও এলাকার লোকজনের জন্য নিচু জমিতে ব্রিজটি করা হয়েছে। আগামীতে সংযোগ রাস্তার জন্য চেষ্টা করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, ব্রিজটির সাথে সংযোগ রাস্তা নেই। তবে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে তারা রাস্তার জন্য জমির ব্যবস্থা করে দেবেন।