ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১০:৪৮ অপরাহ্ন

শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত দুই বিল্ডিং শ্রমিক

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, December 13, 2020 - 12:58 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 126 বার

মোঃইমরান হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলা আশীদ্রোন গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন নব-নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদ ঢালাই কাজ চলাকালীন সময় দুইজন বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার তিতপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ রোমান মিয়া (২১) ও জিলাদপুর গ্রামের মৃত মনফর মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২০)।

এলাকাবাসী তাদের আহত অবস্থা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে আহত আলামিন এর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়ে।

গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আশীদ্রোন গ্রামের আইয়ূব আলী মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, নিয়ম-নীতি না মেনেই রফিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ লাইনের নিকটবর্তী দুতলা ভবন নির্মাণ কাজ চালান। এলাকাবাসী বাধা দিলে ভবন মালিক কারো কথা শুনেন নাই। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভবন নির্মাণের কোন অনুমোদন নেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার দিন ৩৫ জন শ্রমিকে ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাদের একেবারে কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনে দুজন শ্রমিকের হাত লেগে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ রোমান মিয়া ও আল-আমীন গুরুতর আহত হয়।

নির্মাণাধীন ভবনের মালিক রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: রুবেল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘ভাই আমরা পল্লি বিদ্যুৎকে অভিযোগ দিয়ে ছিলাম। পরে পল্লি বিদ্যুৎদের দুই কর্মী এসে লাইনের মধ্যে প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে যায়।’ ইউনিয়ন পরিষদেও অনুমোদনের ব্যাপারে ও তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবনের একতলা ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন আাছে কিন্তু দুতলা নির্মাণের কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটী জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, ‘এ ভবনের পাশ দিয়ে সমিতির মূল লাইন গিয়েছে। তবে লাইনের ব্যাপারে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে জানায়নি। জানালে আমরা ব্যবস্তা নিতে পারতাম’।

৬নং আশীদ্রোণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রণেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন বলেন ‘প্রথম তলা ভবনের নির্মানের জন্য পরিষদ থেকে অনুমোদন নিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ভবনের নির্মানের অনুমোদন উপজেলা দিয়ে থাকে। দ্বিতীয় তলা ভবনের নির্মানের জন্য ইউনিয়ন থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।’