চাকরিতে কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করাসহ সাত দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীরা এ অবরোধ করেন।
এর আগে, সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করলেও দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী শাহবাগ অবরোধ করেন। পুলিশের বাধার মুখে এক ঘণ্টাব্যাপী চলা তাদের এই অবরোধের কারণে শাহবাগ ও এর আশপাশের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা ২৩ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধের ঘোষণাও দেন তারা।
তাদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চাকরির ক্ষেত্রে সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষায় আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ বা মৃত মুক্তিযোদ্ধা ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করা, ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ন, সিনেমা, সিরিয়াল, নাটকের চরিত্রের মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোট পরার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর, টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ খান, বীর সন্তান মেজর সিনহা ও এএসপি আনিসুর করিমের পরিকল্পিত হত্যার বিচারসহ সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা-নির্যাতন ও জমিদখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনিব্যবস্থা এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়া।
এ সময় ঢাকা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি উঠল, কিন্তু বাতিল কেন হলো? কোটা সংস্কার হোক তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার্থে সব পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করে তাদের মর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে মৃত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করতে হবে। ১৯৭২-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে ভুয়াদের বাদ দিতে হবে।’
পুলিশের বাধার মুখে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে অন্যায় আমরা মেনে নেব না। আজ আমরা অবরোধ শেষ করছি, তবে ২৩ জানুয়ারি সবাই চলে আসবেন। ২৩ জানুয়ারি থেকে আমরা টানা শাহবাগ অবরোধ করব। সবাই অন্তত সাত দিনের প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। দরকার হলে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁবু টাঙিয়ে আমরা থাকব, তবু আমরা আমাদের দাবি থেকে পিছপা হব না।