ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

বাঁচতে হলে পেটের কৃমির সম্পর্কে জানুন

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, December 15, 2020 - 4:13 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 928 বার

স্বাস্থ্য : কৃমি মানুষের শরীরের একটি ক্ষতিকর পরজীবী। সাধারণত এরা মানুষের অন্ত্রে বাস করে শরীর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে। কৃমির ডিম্বাণু মানুষের মুখের সাহায্যে বা লার্ভা হিসেবে ত্বকের সাহায্যেও প্রবেশ করতে পারে। অনেক সময় কৃমি মানুষের যকৃত বা অন্য কোনো অঙ্গেও আক্রমণ করতে পারে। কৃমি দেখতে অনেকটা কেঁচোর মতো। এরা হালকা হলুদ ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। পরিণত অবস্থায় একটি কৃমি ৬ থেকে ১৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কৃমি বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন—গোল কৃমি, সুতা কৃমি, বক্র কৃমি ও ফিতা কৃমি।

সাধারণত দূষিত জল, নোংরা খাবার ও অপরিষ্কার শাক-সবজি বা ফলমূলের মাধ্যমে কৃমির ডিম আমাদের মুখে প্রবেশ করে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক থেকে বা অপরিষ্কার হাতে কিছু খেলে কৃমির ডিম আমাদের পেটে যেতে পারে। এই ডিম সেখান থেকে খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্রে যায় এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের এনজাইম বা পাচকরসের সাহায্যে ডিম থেকে লার্ভা বের হয়। লার্ভাগুলো আবার রক্তের মাধ্যমে যকৃত, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের এলভিওলাই ছিদ্র করে শ্বাসনালি দিয়ে অন্ননালি পার হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। সেখানে লার্ভাগুলো পূর্ণতা লাভ করে এবং ডিম পাড়ে। একটা স্ত্রী কৃমি মানুষের অন্ত্রে সাধারণত দৈনিক প্রায় দুই লাখ ডিম পারে। ১০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা কৃমি তৈরি হয়। পরে তা পায়খানার সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আসে। পুনরায় সেই মল থেকে কৃমির ডিম ও লার্ভা খাবারের সাহায্যে অথবা ত্বকের মাধ্যমে আবার সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। কিছু খাবারে কৃমি প্রতিরোধী বা কৃমিনাশক উপাদান আছে। যেমন—গাজর, নারকেল, রসুন, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা হলুদ, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, লবঙ্গ, হলুদ ইত্যাদি।

কৃমিতে আক্রান্ত হলে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন—পুষ্টিহীনতায়, শরীরে রক্তশূন্যতা বা শরীরের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে পেট ফুলে যেতে পারে, শরীর ফ্যাকাসে ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে, পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে, কোনো কিছু বোঝা বা শেখার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে ইত্যাদি।

বাজারে সাধারণত পাইরেন্টাল পামোয়েট, এলবেনডাজল, মেবেনডাজল ও লিভামিজল জাতীয় কৃমিনাশক ওষুধ পাওয়া যায়।

সুস্থ অবস্থায় কৃমিনাশক ওষুধ কিছুটা নিরাপদ হলেও অসুস্থ অবস্থায় বিপজ্জক হতে পারে। তাই অসুস্থ অবস্থায় কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করা যাবে না।