আলবেনিয়ার ভুয়া ভিসা দিয়ে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ মশিউরের বিরুদ্ধে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:জাল ভিসার মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী গোমস্তাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তরিকুলের ছেলে মশিউর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে। রিপন দীর্ঘদিন ধরে আলবেনিয়ার ভুয়া ভিসা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে এক ভুক্তভোগী বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মশিউর রহমান রিপন ঢাকার পুরানা পল্টনে মোতাহার লঞ্চ টাওয়ারে এমআরসি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক নামে একটি ভুয়া এজেন্সি খুলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এমআরসি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এজেন্সি চেয়ারম্যান প্রতারক মশিউর রহমান রিপনের সঙ্গে পরিচয় হয় সাইদুল হক নামের এক ব্যক্তির।
সাইদুল আলবেনিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিপনের কাছে প্রথমে তিন লাখ টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর মশিউর রহমান তাকে একটি আলবেনিয়ার ভুয়া ই-ভিসা সরবরাহ করেন। ই-ভিসা বাংলাদেশে যাচাই করার কোনো সুযোগ না থাকায়, সাইদুল সেটি আসল ভেবে আরো দুই লাখ টাকা মশিউর রহমান রিপনের হাতে তুলে দেন।
মশিউর রহমান রিপন তখন সাইদুলকে প্রস্তাব দেন,তোমার এলাকায় যদি কেউ আলবেনিয়া যেতে চায়, তাহলে তাদেরকেও আমি ভিসা দিতে পারব। আমার কাছে আলবেনিয়ার অনেক ভিসা রয়েছে।এই কথা শুনে সাইদুল নিজ এলাকায় বিষয়টি জানান।
এরপর এলাকার ১০ জন যুবক আলবেনিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মশিউর তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংকের নিজ অ্যাকাউন্টে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভিসা আসার পর বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। ১৫ দিন পর মশিউর তার এমআরসি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফিসে সাইদুলসহ মেহেদী হাসান পলাশ, রাসেল, মেহেদী হাসান, সজীব মিয়া, তাহামিদুল হাসান, সীমান্ত হোসেন, রাকিবুল হাসান, মোজাম্মেল হক, আবু নাসের, সিরাজুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে আসেন। তাদের প্রত্যেককে আলবেনিয়ার ভুয়া ভিসা সরবরাহ করেন এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেন।
এভাবে মশিউর রহমান এগারো জনের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রতারণার শিকার হওয়া যুবকরা এখন আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে মশিউর রহমান রিপনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি আমি মঙ্গলবার পযন্ত তাদের কাছে সময় নিয়েছি।
বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন জানান অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিবো।