লাতিন আমেরিকার দেশগুলো দ্রুত করোনার টিকা পাবে না: ডব্লিউএইচও
পরেও কয়েক মাসের মধ্যে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো তা পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাবে না। তাই তাদের প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিয়ে টিকাদান পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পরামর্শ দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক শাখা প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন (পিএএইচও) সতর্ক করে বলেছে, এখন তৈরির পর্যায়ে থাকা টিকাগুলো আসতে কয়েক মাস সময় লাগবে এবং ২০২১ সালের আগে তা পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে না।
পিএএইচও বলেছে, তাই দেশগুলোকে ২০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এতে অগ্রাধিকার পেতে পারেন স্বাস্থ্যকর্মী, ৬৫–ঊর্ধ্ব বয়সী ও যাঁদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁরা।
পিএএইচওর সহকারী পরিচালক জারবাস বারবোসা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাধা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টিকা পেতে অনেক মাস সময় লাগবে।
ওয়াশিংটন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জারবাস বলেন, দেশগুলোর করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম শিথিল করা উচিত নয়। এ ছাড়া মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার অভ্যাসও ধরে রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে কী পরিমাণ মানুষকে টিকা দিতে হবে, তা স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা জানেন না। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ধারণা করছে, ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা যাবে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। এখনো সেখানে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে কোনো টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
পিএএইচওর পরিচালক ক্যারিসা এটিনি বলেন, ‘টিকা অনুমোদন ও সহজলভ্য হওয়ার পরে দেশগুলো যাতে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি চালাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। সেখানে নতুন করে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের ঘটনা ঘটেছে এবং মৃত্যু বাড়ছে। এতে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৫ জন।