ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই নিহত

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Saturday, January 23, 2021 - 2:22 pm
  • পঠিত হয়েছে: 143 বার

ফয়সাল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে জামাল মুন্সি (৫০) নামের এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে উপজেলার চর চারতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৭ জন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, নিহত জামাল মুন্সি চর চরতলা গ্রামের ফজলুল হক মুন্সির ছেলে। তার বড় ভাই মো : হানিফ মুন্সি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চর চারতলা গ্রামের লতিফ বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুন্সি বাড়ির বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে লতিফ বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মুন্সি বাড়িতে হামলা চালায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন জামাল মুন্সি। পরে  আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বড় ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাত ১টায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এই সময় আমার ছোট ভাই জামাল মুন্সী বাড়ি থেকে বের হলে তার উপর হামলা করলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হানিফ মুন্সী আরো জানান, আমার উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অনাস্থা দিয়েছিল জিয়া উদ্দিন খন্দকার চেয়ারম্যান। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত দুই দিন আগে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থার অভিযোগ তুলে নেয় মন্ত্রণালয়। এই জন্য আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে বাড়িতে এই হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় আমার ছোট ভাই জামাল মুন্সী এগিয়ে আসলে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায় তারা। হামলার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে আমি এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যারা প্রকৃতভাবে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত জামাল মুন্সির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ (শনিবার) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।