ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর প্রদান মুজিব বর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার বললেন, প্রধানমন্ত্রী
মোঃ রুবেল মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার বললেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব বর্ষের সবচেয়ে বড় উপহার হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা। ২৩ (জানুয়ারি) শনিবার সকাল সারে ১০ টার সময় গণভবন থেকে দেশের ৬৪ টি জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠকন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোন সরকার পারেনি একসাথে (৬৬,১৮৯) টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে ঘর প্রদান করতে। সারা পৃথিবীতেও এমন কোন ঘটনা নাই যে একসাথে এতগুলো ঘর ভূমিহীদের প্রদান করা আর এটাই সম্ভব করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
“আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার সরকার,, এই স্লোগান ধারন করে ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্প (২) এর আওতায় মুজিব শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরূপ মির্জাপুর উপজেলায় ২৩৭টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়। স্থানীয় এমপি, সরকারের একজন সচিব, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ১টি করে নির্মাণ করে দিবেন ৫টি ঘরসহ মোট ২৪২টি। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে থাকবে ২ টি বেড রোম, একটি কিচেন, একটি ইউটিলিটি রোম একটি টয়লেট ও একটি বারান্দা। ইতিমধ্যে ৫০টি ঘরের কাজ ড্রয়ি়ং ও ডিজাইন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিদ্যুৎ লাইনের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও বাকি ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে৷ শনিবার সকাল১০টায় মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজনে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে গোড়াই মমিননগরে ১৭টি, তরফপুর ১৬টি, মীর দেওহাটা ৬টি, পেকুয়া ২টি মোট ৪১ টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘর প্রদান করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন৷
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ৪১ টি পরিবারে সাথে উপস্থিত ছিলেন, মির্জাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু , সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সরকার হীতেস চন্দ্র পুলক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দূর্লব চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ফেডারেশনের সভাপতি মো. বিপ্লব মাহমুদ (উজ্জ্বল),উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শীফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবার, মির্জাপুর নির্বাচন কমিশনার উম্মে তানিয়া, সাবেক মেয়র এ্যাড.মোশাররফ হোসেন মনি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ,সাবেক অধ্যক্ষ সালাউদ্দীন বাবর, এস কে পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো.সাদ্দাম হোসেন সহ উপজেলা কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।