ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

কেরানীগঞ্জে কাচ্চি ঘরের খাবার খেয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অসুস্থ

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Tuesday, December 24, 2024 - 9:08 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 35 বার

কেরানীগঞ্জ( ঢাকা) প্রতিনিধিঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে কাচ্চি ঘরের খাবার খেয়ে একটি স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক সকলেই অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আটি বাজার এলাকায় ইউনাইটেড ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে।

এই ঘটনায় ইউনাইটেড ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আসাদুজ্জামান কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কাচ্চি ঘরের মালিক মোঃ মাহিদুল ইসলাম মুন্নার(৪০) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করলেও ওই কাচ্চি ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ায় তীব্র প্রকাশ করেছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক,শিক্ষক অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ইউনাইটেড ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আসাদুজ্জামান জানান।

গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বার্ষিক ফলাফল ঘোষণার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের খাবারের জন্য কদমতলী গোল চত্বর এলাকার কাচ্চি ঘর (কাচ্চি খান) থেকে অর্ডার দিয়ে ৮২৯ প্যাকেট পোলাও ক্রয় করে আনা হয়। এসব খাবার খেয়ে ওই রাতেই সবাই পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত হয়ে সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন আবার কেউ কেউ এখনো অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন।

গত ২১ডিসেম্বর এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মডেল থানায় ওই কাচ্চি ঘরের মালিক মোঃ মাহিদুল ইসলাম মুন্নার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের সূত্র ধরে মডেল থানার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ২২ডিসেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি পুঙ্খানুভাবে তদন্ত করে গেছেন। কিন্তু এখনো তিনি ওই কাচ্চি ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক- শিক্ষিকা ও অভিভাবক মহলে তীব্র খোপের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ইউনাইটেড স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক মাহবুবুল জলিল আলী রাজ জানান,তার মেয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়ন করেন। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের দিন তার মেয়ে ও স্ত্রী সেখানে উপস্থিত থেকে ওই খাবার খেয়ে রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি দ্রুত ওই কাচ্চি ঘরের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।