ঢাকা | ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৮:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ভেদরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমিতে উঠছে আশ্রয়নের ঘর

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Monday, April 3, 2023 - 1:36 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 159 বার

ভেদরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৬১নং সিংজালা মৌজায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর উঠছে বিরোধপূর্ণ জমিতে। যে জমিতে উঠছে ঘর তার মালিকানা নিয়ে রয়েছে একাধিক মামলা।

জোরে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে কাজ করছে। ঘর গরিবের জন্য আর ইউএনও গরিবের সম্পদ কেড়ে নি”েছ এর বিচার প্রধান মন্ত্রীর কাছে চাই। ভুমিহীন রেনুবেগম,ফিরোজা বেগম বলেন, এ জমি আমাদের পৈতিক সম্পদি ছিলো এখন উত্তরাধিকার সূত্রে এ জমির মালিক আমাদের পরিবারের সকলের। বি আর এসর সময় টাকা চেয়েছিল মাঠ জরিপে নিয়োজিতরা। দরিদ্র বলে দিতে পারিনি। পরে শুনি আমাদের জমির বড় আকটা অংশ খাস খতিয়ানে তুলে দিয়ে গেছে তারা।

আমরা বি আর এস বিরুদ্ধে মামলা করি এবং সরকার বন্দোবস্ত দিছে তাও বাতিল করি এবং আদালত থেকে অ¯’ায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ও কোট সমন জারি নোটিশসহ সকল কাগজ পত্র পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তাপরও তারা এই জমি নির্ধারণ করেছে ভুমিহীনদের জন্য। মামলার ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে মিলছে সমন জারি সত্যতা। শরীয়তপুর সহকারী জজ আদালতে হওয়া ওই মামলায় নম্বও ১০/২০২৩ আদালতের সেরেস্তাদার জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নামে জারি হয়েছে সমন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বেপারী বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ প্েরশ্ন জমি বাছাই করে সরকার । এই প্রক্রিয়ায় গ্ররুত্বপুর্ণ ভুমিকা থাকে ¯’ানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এ জমির ক্ষেতে তা মানা হয়নি।বাছাই পর্বেই এই জমি নিয়ে আপত্তির কথা বলেছিলাম। জমির মালিকানা নিয়ে চলমান মামলা এবং বিরোধপৃর্ণ জমিতে ঘর না করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছি ।

ইউএনও তা শোনেনি। নিজের মতো করে সব চুড়ান্ত করার পর শুরু করে বালু ভরার কাজ। শেষ পযর্স্ত যদি মালিকানা হারায় সরকার তো ভুমিহীনদের কি হবে? আর সরকারের লাখ লাখ টাকাও জলে যাবে তাই বিষয়টি থেকে সরে এসেছি।

এদিকে যারা ঘর পাবে তাদের ৩/৪ জনের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন,সরকারিভাবে ঘর পাব জেনে যতটা আনন্দ ছিলাম তার চেয়ে এখন বেশি ভয় পা”িছ । ঘরে ওঠার পর যদি দেখি যে তা ছেড়ে দিতে হবে তখন কোথায় যাব? তার চেয়ে যে জমিতে ঝামেলা নেই সেখানে আমাদেরকে ঘর দিক প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দল্রাহ আল- মামুনের সঙ্গে ।

শুরুতে তিনি উড়িয়ে দেন জমির মালিকানা বিষয়টি। নদীর বুকে জেগে ওঠা নদীর পাড়েই ঘর নির্মান হবে বলে দাবি করেন তিনি। ইউএনও আরো বলেন, বিআরএস এ সরকারি জমি শে জমিতেই আশ্রয়ন প্রকল্প হয়। আলোচ্য মৌজা এবং দাগে তাদের(মালিকানা দাবিদার) জমি রয়েছে এটা ঠিক। তবে সেই জমি এটি না। আদালতের আসা সমন সংক্রান্ত নোটিশের জবাব দিবো বলে জানান এ কর্মকর্তা।