এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ছাত্র ইউনিয়ন হবিগঞ্জ জেলা সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আনাস মোহাম্মদের সঞ্চালনয়ায় সাবেক ছাত্রনেতা ও উন্নয়নকর্মী মাহমুদা খাঁ’র সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাপা’র হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রণব কুমার দেব, মুক্তাঞ্চল হবিগঞ্জের সদস্য অদ্বিতীয়া পদ্ম।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্ক্সবাদী) হবিগঞ্জের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ মিউজিক্যাল ব্যান্ড কমিউনিটির সভাপতি তাসনিমুল হাসান তানিম সহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নাগরিকবৃন্দ। সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন প্রধান সড়ক দুই ঘন্টা যাবৎ অবরোধ করে রাখেন। যার ফলে হবিগঞ্জ শহর কার্যত অবরোধ হয়ে পড়ে। এতে সাময়িক দূর্ভোগের সৃষ্টি হলেও উপস্থিত পথচারী সহ সবাই এই ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে চাইলেও সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হয় বলে জানা যায়। আন্দোলন আরও জোরালো হলে একপর্যায়ে পিডিপি হবিগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হাসান উপস্থিত হয়ে আগামী এক সপ্তাহের ভিতরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা রাস্তার ব্যারিকেট তুলে নেয় এবং পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে আন্দোলনকর্মীদের একটি প্রতিনিধীদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আন্দোলনকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক জাতীয় গ্রীড থেকে হবিগঞ্জে অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত এবং হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের গাছ কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলের পক্ষ হতে হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বেদখলের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠের যাবতীয় স্থায়ী স্থাপনাসহ সেটাকে খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।