প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরীর উদ্যোগ তারাকান্দা ইউএনও’র
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ তারাকান্দার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’ মিজাবে রহমত।
দেশের যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেসব বিদ্যালয়ে স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনার নির্মাণ করার ব্যাপারে শিক্ষা অধিদপ্তরের যে নির্দেশনা রয়েছে তার বাস্তবায়নে কাজ করছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।
সে লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে শিক্ষার্থীদের সংযোগ স্থাপন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণার্থে ইউএনও’র উদ্যোগে উপজেলাধীন ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক ও বাট্টামিলন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার ও মুক্ত মঞ্চের নির্মাণ কাজ কাজ চলমান রয়েছে। রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বুলে এর সহযোগিতায় নির্মাণাধীন কাজটি গুণগত মান যাচাই-বাছাই করতে ১৬আগষ্ট সকালে পরিদর্শণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজাবে রহমত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক ও বাট্টামিলন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার ও মুক্ত মঞ্চের নির্মাণ কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়ায় আগামী ২০২৪ সালে প্রথমবার বিদ্যালয়ের নিজস্ব শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে শিক্ষার্থীরা।
সুত্র জানিয়েছে-উপজেলায় ১৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, জাতীয় শহীদ দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে এসব শিশুশিক্ষার্থীকে যেতে হতো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবস পালন করে।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর পরিকল্পনায় এসব স্কুলে শহীদ মিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় হাসি ফুটেছে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মাঝে।
উপজেলার ফরিদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আগে বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা খুশি।
রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বুলে জানান- ইউএনও সাহেব যে উদ্যোগটি নিয়েছেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমি এবং আমার ইউনিয়ন বাসি স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগের কথা অন্যরা জানতে পেরে তারাও উৎসাহিত হবেন। এমন উদ্যোগকে আমরা সব সময়ই অভিনন্দন জানাবো।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা জানান, তিনি উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বর্তমান প্রজন্মদের মাঝে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন। সব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এ উদ্যোগ নিয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে আলোচনার স্থান দখল করে নিয়েছেন।
ইউএনও মিজাবে রহমত বলেন, উপজেলার সব স্কুলে এখন শহীদ মিনার। এটা খুবই জরুরি। এ উদ্যোগ নেওয়ায় নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে পারবে।