“শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষ আজ নানারকম ভাতা পাচ্ছে।” – তথ্যমন্ত্রী
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে দেশ আজ বদলে গেছে, পাল্টে গেছে দেশের সার্বিক চিত্র। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলে দেশের এতো উন্নয়ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ আজ নানারকম ভাতা পাচ্ছে। দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা রক্ষায় আগামীতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে।”
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বেতাগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবছার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা চানক্য প্রসাদ বড়ুয়া, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, উপজেলা তাতীলীগের আহবায়ক মোরশেদ তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, শিক্ষক প্রবীর কান্তি নাথ, আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জানে আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি টিস্যু দেব, তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ,
বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দলের নাম বিক্রি করে কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকার নির্ধারিত স্থান ছাড়া যত্রতত্র বালি উত্তোলন করে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলের নেতৃবৃন্দদের চোখ নামিয়ে চলতে হবে। আমার কাছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের কাউকে আমি ছাড় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবো না।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষ যে ভাতাগুলো পাচ্ছেন, তা ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম চালু করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি জামায়াত এসে এই ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিলো। এখন প্রতি ইউনিয়নের ৩-৫ হাজার মানুষ নানারকম ভাতা পাচ্ছে। ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে এলাকায় কে কোন দল করে সেটা বিবেচনা কোনো সময় করিনি। ড. হছান মাহমুদ বলেন, পরপর তিনবার এমপি হয়েছি। আমি সব সময় রাঙ্গুনিয়ার মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্টা করেছি, কোনো দলের নয়। গত ১৫ বছর ধরে সকল স্তরের মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেছি, এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে আপনাদের কাছে আমার এই পরিশ্রমের মূল্যায়ন প্রত্যাশা করি।”