ধামইরহাটে আমন ধান কাটা শুরু, উৎসবের আমেজ কৃষকদের ঘরে ঘরে
মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ধানে ধন্য খাদ্য ভান্ডার নামে খ্যত নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় ১টি পৌর সভা ও ৮টি ইউনিয়নের বিস্তর্ণ মাঠ জুড়ে এখন পাকা ধানের সমারহ। দিগন্ত জুড়ে এখন সোনালী ধানের ঝলমলানি। পাকা ধানের শিষগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে আপন খেয়ালে। কৃষকদের জানান দিচ্ছে ঘরে তোলার সময় হয়েছে। এরই মধ্যে ধান কাটা-মাড়ায়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। মাঠে মাঠে ধান কাটতে পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিককেও সমান তালে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে। তার পরই কৃষকদের স্বপ্ন পুরনের মাহিন্দ্র ক্ষন। সেই আশা বুকে ধারণ করে কৃষকদের চোখে মুখে এখন আনন্দের ছাপ। ধান কেটে নতুন ধানের চাল দিয়ে গ্রাম বাংলার কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী চির চেনা নবান্ন উৎসব। এ উৎসবে মেতে উঠবে প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্য নতুন চালের খির-পায়েশ ও গোস্ত উৎসবের প্রধান উপকরণ।
সরজমিনে গেলে এলাকার একাধিক কৃষক আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, এ মৌসুমে আবহাওয়া আমন আবাদে অনুকুলে থাকায় এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হওয়ায় আশানারুপ ফলন ঘরে তুলতে পারবে এমনটাই আশা করছেন ধান তাঁরা।
উপজেলার দৃর্গাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। সময় মতো সার, কীটনাশক ও পরিচর্চার মাধ্যমে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ হাজার ৭ শত ৩৫ হেক্টর। কিন্তুু জমি চাষ হয়েছে ২০ হাজার ৬ শত ৮০ হেক্টর। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ হাজার মেট্রিকটন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত উপজেলায় ধান কাটা হয়েছে ৩০% এতে উৎপাদন হয়েছে ৩.৩৬ পার হেক্টরে।
উপজেলা কৃর্ষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মো. তৌফিক আল জুবায়ের জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ প্রদান সময় মত কীটনাশক, রোগবালাই দমনে ঔষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এ মৌসুমে আমন আবাদ খুব ভাল হয়েছে। পুরো সময় জুড়ে আবহাওয়া ছিল অনুকুলে ফলে উৎপাদনকারীরা আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারবে।