মামলার জামিনে এসে সাংবাদিক পরিবারের চলাচল পথ বন্ধ করে অবরুদ্ধ
চট্টগ্রাম:রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাবকে হুমকি দেয়ার মামলার আসামী রহিম উদ্দিন (২৪) জামিনে এসে সাংবাদিক পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করে সাংবাদিক পরিবারকে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দুইঘন্টা অবরুদ্ধ ছিল পরিবারটি।
এই সময় ঘরের আশেপাশে অভিযুক্ত ব্যক্তি দলবল নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মহড়া দেয়। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকালে পরিবারের সব পুরুষ সদস্য বাইরে ব্যক্তিগত কাজে বের হয়। তারা বের হওয়ার সাথে সাথে রহিম উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে সাংবাদিক পরিবারের চলাচলের পথে খুঁটি পুঁতে ঘেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ ও পৌরসভার কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপে অভিযুক্তরা নিজেরা ঘেড়া তুলে নেয়।
অভিযুক্ত রহিম উদ্দিনের পিতা ফজলুল কবির বলেন, “ আমার ছেলেকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর কারনে চলাচলের পথ বন্ধ করেছি।”
চাইলে তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে সাংবাদিক পরিবার ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করার কথা স্বীকার করলেও চলাচলের পথটি তাদের দাবি করেন।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কপিল উদ্দিন সিকদার বলেন, “ দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের পথ হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া অমানবিক। ফজলুল কবির গং চলাচলের পথটি তাদের দাবি করছে। দুই পক্ষের সাথে বৈঠকে বসবো।”
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন,“ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘেড়া-বেড়া তুলে দিই।”
উল্লেখ্য ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার রোয়াজারহাট এলাকা থেকে রহিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন আফতাবকে হুমকি দেয়ার কারনে তিনি থানায় রহিমকে বিবাদী করে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ওই জিডির সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ আদালতে প্রসিকিউশন দেন। মামলায় আসামী রহিমের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সাংবাদিক আব্বাস হোসাইন বলেন, ” গত বছরের শেষের দিকে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামী রহিম উদ্দিন দলবল নিয়ে একাধিবার আমার ওপর হামলার চেষ্টা চালায় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ব্যাপারে আমি রহিম উদ্দিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করি। এসব জিডির সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ আদালতে প্রসিকিউশন দেন। মামলা দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত ১৮ জুলাই বাদী আব্বাসকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আসামী রহিম। পরে তিনি ২৪ জুলাই থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পুলিশের তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০ সেপ্টেম্বর তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে জিডির প্রসিকিউশন পাঠান। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।