৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
মো. নাসির, নিউ জার্সি প্রতিনিধিঃবাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আবারও মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এসব কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মিলারের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে এবং বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে জেলে রেখে অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? এর আগে আপনি বিবৃতিতে বলেছিলেন, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।’বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ করেছে, ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন।
> পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।’
>
> নির্বাচনকালীন সময়ে এবং এর আগের মাসগুলোতে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহিংসতার গ্রহণযোগ্য তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সব দলের প্রতি সহিংসতাকে পরিহার করারও আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।উত্তরে মিলার বলেন, ‘বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে যেভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে এখনও আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি নির্বাচনে যেভাবে কারচুপি হয়েছে তা নিয়েও আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্যদের মতো নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।’
>
> এসময় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ জানিয়ে মিলার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে আমরা এর নিন্দা জানাই। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাবো, তারা যেনো সহিংসতা পরিহার করে।’