বারহাট্টার জরাজীর্ণ এতিমখানা মাদ্রাসাটিও এখন জমজমাট
বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা এক সময়ের জমজমাট মাদ্রাসাটি ২০১১ সালে মাওলানা মাকসুদুর রহমান চলে যাওয়ার পর থেকে বড় ধরনের হোঁচট খায়। এর পর মাদ্রাসা কমিটি মুহতামিম নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। জরাজীর্ণ এতিমখানা মাদ্রাসা টিতে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেখে মাওলানা আনোয়ার হোসেন মুহতামিম হিসেবে আবেদন করেন। যাছাই বাছায়ের মাধ্যমে মহিউসছুন্নাহ দারুণ উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার কমিটি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কে নিয়োগ দেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মুহতামিম এর দায়িত্ব পালন করে আসছে মাওলানা আনোয়ার হোসেন।
২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হাফেজ তোফাজ্জল হোসেন।
মাওলানা আনোয়ার হোসেন এই প্রতিষ্ঠানে এসে উত্তর দিকের জরাজীর্ণ ঘরটিতে ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্র ও ৫ জন শিক্ষক পেয়েছেন। তাদের নিয়েই তিনি পাঠদান শুরু করেন।
মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এই মাদ্রাসায় যোগদানের সময় শুধু হেফজ খানা চালু ছিল। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কিতাব খানা চালু রয়েছে। আমি এসে মাদ্রাসাকে বেফাক বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করেছি। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় ১৪০ জন ছাত্র রয়েছে। প্রতিদিন ৯০ জন ছাত্র এই প্রতিষ্ঠানের বোর্ডিংয়ে খাওয়া দাওয়া করে। বর্তমানে বাবুর্চি ১ জন ও শিক্ষক ৯ জন দায়িত্বে রয়েছে ।
আমি আসার পর মাদ্রাসায় বিগত দিনের কোন হিসাব পায়নি। শুধু এতিমখানার একাউন্টে ২৭ হাজার টাকা ছিল। বর্তমানে এই এতিমখানায় ৪৭ লক্ষ টাকা রয়েছে। আমি সবার সহযোগিতায় দুটি বড় ক্লাস রুম ও একটি মার্কেট করেছি। মার্কেট থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ভাড়া আসে।
আমি এই প্রতিষ্ঠানে আসার পর মাদ্রাসার স্বার্থে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রেখে চলার চেষ্টা করেছি। বিগত দিনে এই এতিমখানার ৪০ জন ছাত্র কে সরকারি ক্যাপিটেশনের আওতায় এনেছি। যারা প্রতি মাসে মাথাপিছু ২০০০ টাকা করে পাচ্ছে।
মানুষ হিসেবে আমার ভুল তাকতে পারে কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হোক এমন কোন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করিনি।
এর পর মাওলানা আনোয়ার হোসেন মাদ্রাসার উত্তরোত্তর উন্নতির জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। যাতে এই প্রতিষ্ঠান টি খুব দ্রুত দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন।