প্রচ্ছদ » » এডিসি হলেন জনবান্ধব কর্মকর্তা ময়মনসিংহ সদরের সাবেক ইউএনও শফিকুল ইসলাম
এডিসি হলেন জনবান্ধব কর্মকর্তা ময়মনসিংহ সদরের সাবেক ইউএনও শফিকুল ইসলাম
- দৈনিক নবোদয় ডট কম
- আপডেট: Wednesday, September 25, 2024 - 9:45 am
- News Editor
- পঠিত হয়েছে: 12 বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জনবান্ধব কর্মকর্তা ময়মনসিংহ সদরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
গত ৪ঠা আগষ্ট ২০২৪ তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে তিনি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনে যোগ দেন।
একজন সরকারী কর্মকর্তা ভাল ভাল কাজ করে মানুষের মাঝে যে কতটা জনপ্রিয় হতে পারেন তার প্রমান ময়মনসিংহ সদরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে সকলের কাছে হয়ে উঠেছেন জনবান্ধব কর্মকর্তা। পরে তিনি গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদর ও গফরগাঁও উপজেলায় ইউএনও হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পরে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে উপ- পরিচালক হিসেবে যোগদান করে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।সেখান থেকে তিনি গত ৪ঠা আগস্ট ২০২৪ সালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের এডিসি রাজস্ব হিসাবে যোগদান করেন।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব ও অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে বতিক্রমও পাওয়া যায় কাউকে কাউকে। যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থারস্থল ও প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন। হয়রানি থেকে মুক্তি দেন মানুষকে, নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেন জনবান্ধব। তেমনই একজন জনবান্ধব কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসেবে প্রদায়ন হওয়া জনবান্ধব কর্মকর্তা গৌরনদীর ইউএনও শফিকুল ইসলাম যে খানেই দ্বায়িত্ব পালন করেছেন তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে তিনি জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
যে উপজেলায় দ্বায়িত্ব পালন করেছেন, সে উপজেলার বিভিন্ন অফিস থেকে অনিয়ম দূর্নীতি প্রতিরোধ করে মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। সে যোগদানের পর উপজেলার অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গতিশীল হয়েছে কাজ, দুর হয়েছে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ৩৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য।
৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাবনা জেলা প্রশাসনে সাঁথিয়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে প্রায় ৩ বছর সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। যেখানে সাথিঁয়া ভূমি অফিস মানেই ছিল ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা। সেখানে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের যোগদানের পর সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার নেতৃত্বে ভূমি অফিসের সব নৈরাজ্য দূর হয়ে সেখানে তৈরি হয় আস্থার পরিবেশ। সাথিঁয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে একজন জনবান্ধব ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনকে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করে। প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন সদরের মানুষের জন্য।কাজ করেছেন সদর উপজেলাকে আধুনিক ও শিক্ষাবান্ধব উপজেলা প্রতিষ্ঠায়। তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা দপ্তরকে কার্যকর করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রেখে জেলায় ও উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
উপজেলায় মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের ও বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান নিশ্চিত করনের জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্কুল পরিদশন করছেন। তার দক্ষতায় সদর উপজেলায় নকল মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি, পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা।
ইউএনও শফিকুল ইসলাম বাল্যবিবাহ রোধে দিন রাত অবিরাম কাজ করা করেছেন। সদরের মানুষকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে করেছেন সচেতন। দিনে রাতে যে সময় খবর পেয়েছেন বাল্য বিবাহ অয়োজনের, ইউএনও শফিকুল ইসলাম নিজে হাজির হয়ে বন্ধ করেছেন বাল্য বিয়ে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ের আয়োজনকারীদের দিয়েছেন দন্ড।
সদর উপজেলায় ১ বছরে প্রায় অর্ধশতাধিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি।
উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভেজাল বিরোধী অভিযান ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস করেছেন তিনি। তিনি সদর উপজেলায় সরকারী জায়গায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও দখল করা খাল উদ্ধার করে প্রশংসা পেয়েছে স্থানীয়দের। উপজেলায় গরীবদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জমি আছে ঘর নাই, তার নিজের জমিতে ঘর করে দেয়া প্রকল্পটি সুষ্ঠ ও সুন্দর মত তদারক করে এ কাজটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন । সদর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পূণ করতে সোচ্চার ভূমিকা ছিল তার। ময়মনসিংহ সদরে দীর্ঘ মহাসড়কে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে জনগণকে সচেতন করার বিষয়ে নানা উপায়ে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভিক্ষুকমুক্ত এবং মাদকমুক্ত সদর উপজেলা প্রতিষ্ঠার জাগরণ তৈরি করাসহ পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপন ও উপজেলায় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সকল কর্মকর্তাদের সাথে সুন্দর সমন্বয় করে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন ইউএনও শফিকুল ইসলাম ।তিনি সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবটি নতুন আঙ্গিকে সাজানো এবং কার্যকরী করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। সার্বক্ষণিক স্টেশনে থেকে সব সময় নিবেদিত প্রাণ হয়ে উপজেলার সকল বিষয়ে সম্যক ধারণা নিয়ে কাজ করে আধুনিক সদর উপজেলা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে উপজেলার জনগনের কাছে ইউএনও শফিকুল ইসলাম পরিচিতি পেয়েছেন জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে।