প্রচ্ছদ » » ইউএনও’র ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে ত্রিশাল,হাসি ফুটেছে মানুষের মুখে
ইউএনও’র ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে ত্রিশাল,হাসি ফুটেছে মানুষের মুখে
- দৈনিক নবোদয় ডট কম
- আপডেট: Thursday, October 17, 2024 - 2:27 pm
- News Editor
- পঠিত হয়েছে: 10 বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ নিজেকে একজন জনবান্ধবও মানবিক সরকারি কর্মকর্তা পরিচিতি লাভ করেছেন । এর মেধা কর্মদক্ষতা এবং প্রশংসার কথা শুনা যাচ্ছে মানুষের মুখে মুখে। তার ছোয়ায় যেন বদলে যাচ্ছে উপজেলার চিত্র।
ভালো কাজ, ভালো ব্যবহার আর ভালোবাসা দিয়ে এরই মধ্যে জয় করে নিয়েছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মন। ক্ষমতাবান মানুষ থেকে শুরু করে সাধারণ দিনমজুর সবার কথা তিনি মনোযোগ সহকারে শোনেন।
তিনি ত্রিশাল উপজেলায় যোগদানের পর সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যাংক,বীমা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে ফিরে পেয়েছে কাজের গতি। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে তার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে,একযুগ ধরে ত্রিশাল পৌরবাজার থেকে চিকনা মোড় পর্যন্ত একটি সড়কের চরম বেহাল অবস্থায় ছিল! প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে শতশত যানবহন সহ সাধারণ পথচারীরা যাতায়াত করতো। সড়কটির খানাখন্দের কারণে মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ ছিল না।কিন্তু বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিরা সড়কটি সংস্কার করতে সক্ষম হয়নি !
পৌর প্রশাসক হিসেবে জুয়েল আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর তার নিরলস প্রচেষ্টায় এই সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।শীঘ্রই সড়কের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত ঘটলে মালবাহী যানবাহন সহ হাজারো মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসকের এমন কর্ম তৎপরতা দেখে এলাকার মানুষ খুবই খুশি। এই মানবিক কর্মকর্তার এমন নিরলস প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন পৌরবাসী। এছাড়াও পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে পৌর কর পরিশোধের তাগিদ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু পৌরসভা নয়,প্রতিনিয়ত উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে উপজেলার বারোটি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের রীতিমতো খোঁজখবর নিচ্ছেন। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ছুটে যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও দেখা গেছে।চলতি সময়ে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অফিসগুলোতে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এছাড়াও গত ২০২৩ এর ৩০ শে মার্চ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিনের শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে আহসান হাবীবের পাশে দাড়িয়ে তাকে হুইল চেয়ার উপহার দিয়ে বপশ আলোচনায় আসেন ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জুয়েল আহমেদ। দুই হাত ও পায়ের হাঁটুর উপর ভর দিয়ে চলাচলকারী প্রতিবন্ধী হাবিব চলাচল করতে না পারায় তার পক্ষে তার পক্ষে জিবীকা ও রোজগার করে সংসার চালানো কষ্টকর হতো। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হতো তাকে, ব্যাপারটি অবশেষে ধরা খেলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ এর মানবিক দৃষ্টিতে।
তিনি দাড়ালের হাবিবের পাশে,বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত। তিনি তাকে হুইল চেয়ারটি উপহার দেওয়ায় হাবিবের পরিবার এখন খুশীর মহোৎসবে ভাসছে।২০২৩ সালের অক্টোবরে আকস্মিক ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছিলো মানুষ। উপজেলার শতশত বসত ঘরে পানি প্রবেশের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়াসহ হাজার হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছিলো ত্রিশালের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফিসারীগুলো, পানিতে ডুবে মৎস্য শিল্পের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছিলো। সেসময় টানা বর্ষণের ফলে এমন ক্ষয়ক্ষতির কথা শুনে সারাদিন পানিবন্ধী এসব এলাকার মানুষগুলোর খোজ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ।
কোথাও গাড়ি নিয়ে আবার পায়ে হেঁটে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে পানিবন্ধী মানুষের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষে
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলে
ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেও পাশে দাঁড়িয়ে ইউএনও আলোচনার স্থান করে নেওয়াসহ জনসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বচ্ছতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে নজির সৃষ্টি করেছেন
সাফল্য হিসাবে তার প্রচেষ্টায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালকনা করার ফলে সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে দেশের সেরা ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন উপজেলার কানিহারী ইউনিয়ন পরিষদ। এই মহৎ কাজে তিনি টিমলিডার হিসেবে সরাসরি ভাবে যুক্ত ছিলেন।
ত্রিশালের সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে-
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ এর একের পর এক কার্যকরী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যেন বদলে যাচ্ছে পুরো উপজেলার চিত্র। ৩৪ তম
বিসিএস প্রশাসনিক ক্যাডারে এ উত্তীর্ণ চৌকস ও মেধাবী এই কর্মকর্তা গত ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নবরূপে রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে বলেও দাবী ত্রিশালের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গণমানুষের মুখে-মুখে।
উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সাথে নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে দেখা গেছে।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েলআহমেদ বলেন, আমি কর্মে বিশ্বাসী। আমার দায়বদ্ধতা থেকেই এ সকল উন্নয়নমূলক কাজ করছি। এসব কাজে স্থানীয সকল জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। যেহেতু ছাত্রজীবন থেকে মানবসেবার প্রতি আমার দুর্বলতা ছিল। বিসিএস প্রশাসনিক ক্যাডারে চাকরি হওয়ায়, নিজ দায়িত্ব থেকে মানবসেবা করার আরো বেশি সুযোগ পেয়ে যাই।
প্রকৃতপক্ষে ভালো কাজ করলে সবাই সহযোগিতা করেন। সুতরাং যতটুকু পেরেছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগনকে হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে করার চেষ্টা করছি। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে
সকলের দোয়া ও দোয়া অসহযোগীতা চেয়ে আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার মতামত ব্যক্ত করেন।