রাজশাহী পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬৫ তম পুন:র্মিলনী উৎসব সম্পন্ন
জিয়াউল কবীর: শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ঐতিহ্যের ৬৫ বছর উদ্যাপন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম,আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন যুবায়ের, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, কলেজের স্মরনীকা প্রীতিডোর সম্পাদক মোস্তাক মাহমুদ মারুফ,নির্বাহী সম্পাদক আখতারুল ইসলাম,আবুল ইয়াসিন, তারিকুল ইসলাম খান,আমিনুল হক,আলমগীর হোসেন,আতিকুল ইসলাম,মানাজির রহমান,ডা:আমানুল্লাহ বিন আখতার আবিদ,ইউসুফ বিন জাকারিয়া সহ পায় নতুন পুরাতন সকল শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীগন।
শুক্রবার কলেজ মাঠে আয়োজিত দিনব্যাপী ৩ টি পর্বের অনুষ্ঠানের মধ্যে কলেজে আগত পুরাতন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরন,আনন্দ রালী,জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,বেলুন ফেস্টুন পর পায়রা উড়ানো,অতিথদের আসন গ্রহন, ধর্ম গ্রন্থ থেকে বানী পাঠ,অথিথি ও প্রধান অতিথি পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য প্রদান,গুনীজন সংবর্ধনা,বিভিন্ন ব্যচের ফটো উত্তলোন পোজ,মঞ্চে ফটোশেসন,স্মৃতিচারন, মধ্যাহ্ন ভোজন,কলেজ মসজিদে বিভিন্ন ব্যচের নামাজ পড়ার দৃশ্য,শিক্ষক দের নিয়ে কথামালা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,ব্যান্ড সংগীত,সংগীতের তালে প্যান্ডেলের থোপে থোপে নাচ ও র্যাফেল উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদিন ছিল এক অনন্য অসাধারণ মিলন উৎসব মেলা।
এ মেলা হয়েছে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। পুলিশ কমিশনার মহোদয়, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের ব্যক্তিবর্গ,ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান ও সাবেক সদস্যবৃন্দ,সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকমন্ডলী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমের সাংবাদিক – কলামিস্ট – রিপোর্টার বৃন্দ সহ আয়োজনের বিভিন্ন ইভেন্টে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সকলের প্রতি আয়োজক কমিটি কৃতজ্ঞতা জানান। যারা সুন্দর আয়োজনের স্বার্থে নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে,অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি ছাত্ররা কৃতজ্ঞ জানিয়েছেন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে মিটিং করা, সকলের সাথে যোগাযোগ করা, রেজিঃ করা, ডোনেশন ও বিজ্ঞাপনের জন্য দৌড়ঝাপ করা, আয়োজনে মেহমান সংখ্যা নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী বাজেট তৈরি, বাজেটের অর্থ যোগানো, উপহার সামগ্রী চিহ্নিত করে তা ক্রয় করা, তিন টাইমের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থাপনা, বাবুর্চি,ডেকোরেশন, লাইটিং, অলংকরণ, সাউন্ড সিস্টেম, স্মরণিকা তৈরি, তাতে বিজ্ঞাপন – বাণী, শিক্ষার্থীদের ছবি সহ বৃত্তান্ত সংগ্রহ, বিশৃঙ্খলা এড়াতে ফিতা সহ দায়িত্বভেদে ভিন্নভিন্ন কালারের ফিতা সংগ্রহ, খাবারের টোকেন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট তা পৌঁছে দেয়া, সবচেয়ে কঠিন কাজ কার্ড প্রস্তুত করে তা বিলি করা, ক্রেস্ট তৈরি, ফুলের তোড়া সংগ্রহ, পরিকল্পিত ভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা, উপহার সমূহ যথাযথ পদ্ধতিতে বন্টন, আপ্যায়নের স্থান পরিচ্ছন্নতা, স্বেচ্ছাসেবক টিম, কফি- চা,পরিবেশন ও বিশেষভাবে সাবেক শিক্ষকগণের নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের কে অনুষ্ঠানে উপস্থিত করা সহ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়িয়ে শৃঙ্খলার সাথে পুরো আয়োজন বাস্তবায়ন মেধা – শ্রম কলেজের ছাত্ররা পুরো মাত্রায় অবদান রেখেছে।
বিশেষ করে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মোস্তাক মাহমুদ মারুফ স্যার সম্মানিত অতিথি ও সাবেক শিক্ষক, কমিটি, বর্তমান শিক্ষক কমিটি সহ সবার যথার্থ সম্মান প্রদানে সচেষ্ট ছিলেন ফলে দিনটি সহায়তার মিলন মেলায় পরিনত হয়