পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনটিআরসিএ ওই কলেজের আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে ভরত কুমার বিশ্বাসকে ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ভরত কুমার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০দিন পর একই বছর ৪ মে যোগদানের জন্য কলেজে যান। তখন গভর্নিং বডি নিয়মবহির্ভূতভাবে ভরত কুমারকে নিয়োগপত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় এনটিআরসিএ’তে কলেজের তৎকালীন গভর্নিংবডি ভরত কুমারের যোগদানের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন।
ওই সময় গভর্নিং বডির সভাপতিকে পাশকাটিয়ে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাত ও সরকারি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালসহ নানা কারনে বরখাস্ত হওয়া কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভরত কুমার ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ৯ এপ্রিল ভরত কুমার কলেজে এসে চলে যান।
ওই সময়ে কলেজের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবা আক্তার বলেন, নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন পর ভরত কুমার আমার কাছে যোগদানের জন্য আসেন। আমি তার সুপারিশপত্র রিসিভ করে রেখে দেই। তখন গভর্নিং বডি ভরত কুমারের নিয়োগের বৈধতা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে
এনটিআরসিএতে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কবে কখন কিভাবে তার নিয়োগ হয়েছে তা জানিনা। অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে কলেজের গর্ভনিং বডির তৎকালীন সভাপতি শাহ আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি শাহআলম বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন একজন শিক্ষককে সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এ কাজটি করেছেন। তিনি বলেন, আমি জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ভরত কুমারের এমপিও বাতিলের দাবী করছি। আর জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক ভরত কুমারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ভরত কুমারকে বৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।