ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ২:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

হোটেল কাবা-কাবা

  • দৈনিক নবোদয় ডট কম
  • আপডেট: Sunday, December 20, 2020 - 3:26 am
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 143 বার

মোঃ হেলাল উদ্দিন সরকার, ধুনট বগুড়া থেকেঃঃ ৯০ এর দশকে বন্ধুদের অধ্যায়ন যখন শেষ পর্যায়ে,তখন আমরা আবিষ্কার করি হোটেল কাবা-কাবাকে।স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তখন ঐ হোটেল থেকেই আমরা পরিচালিত করতাম।ব্যানার,ফেস্টুন আর মিছিলের আয়োজন তখন ওখান থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হতো । 

ছোট্ট একটা দোকান, কতোটাই বা বড় ১৫ ফিট বাই ১২ ফিট হবে হয়তো। সেখানে আড্ডায় মেতে উঠতাম ৭০ থেকে ৮০জন।আমাদের কথায় আর চিৎকার চেঁচামেচিতে, দোকান মালিক জয়নাল ভাই, প্রায়ই বিরক্ত হয়ে বলতো আননেরা আর কত কাবকাব( আড্ডা, কথাবার্তা বলা, চেচামেচি ইত্যাদি) কইরবেন, দয়া করি আননেগো কাবা-কাবা বন্দ করেন। জয়নাল ভাইয়ের সেই কাবা-কাবা কথাটি আমাদের মনে ধরে গেলো, সেই থেকে আমাদের নতুন ঠিকানা ঐ হোটেল কাবা-কাবা।তখন মোবাইলের যুগ নয়।তাই আমাদের একত্রিত হওয়ার জন্য ঐ কাবা-কাবাই ছিলো ঠিকানা।সেই সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা কিংবা তাঁরও বেশী সময় কাটাতাম ঐ কাবা-কাবা তে।

আজ প্রায় ৩০ বছর পর আড্ডা দিতে একসাথে জড়ো হয়েছিলাম ঐ কাবা-কাবায়। কাবা-কাবার সেই সৌন্দর্য আজ আর নেই,মেট্রোরেলের কারনে ভাংগা পরে গেছে সেই দেয়াল বেষ্টিত হোটেল, সেখানে বেড়া দিয়ে কোনভাবে টিকে আছে।জয়নাল ভাই আগের মতোই আছে, সেই হাসিখুশি মুখ নিয়ে।চাহিদার স্বল্পতার কারণে আজও সুখি মানুষ।

নাখালপাড়াতে মুখোরোচক সিংগারার জন্য এক নামে চেনে ঐ কাবা-কাবা হোটেল কে।শুধু পার্থক্য একটাই ৯০ সালে একটা সিংগাড়া খেতাম ১ টাকা দিয়ে, এখন ৫ টাকা। তবে স্বাদ টা আগের মতোই আছে। ইতিমধ্যে হয়ত আড্ডা মারার অনেক বন্ধুকে হারিয়েছি -কেউ হয়ত নিকটেই দুরে, কেউ হয়ত একেবারে দুরে। তবুও বলি স্মৃতিচারণে, বেঁচে থাক কাবা-কাবা আমাদের মাঝে,বেঁচে থাক নাখালপাড়া বাসীর কাছে আমৃত্যু পর্যন্ত।