লামায় বৃক্ষ নিধন ও পরিবেশ ধ্বংস করে দিনে রাতে চলছে অবৈধ কাঠ পাচার
বিপ্লব দাশ, লামা সংবাদদাতা : লামায় পরিবেশ ধ্বংস করে সরকারি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাঠের রমরমা ব্যবসা করছে একটি মহল । গাছের জোত পারমিট একজনের নামে করে এক স্থানের গাছ কাটছে অন্যান্য জায়গা থেকে। এসব কাজ নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন কাঠ খেকোরা। শুরু হয় অবাধে কাঠ পাচার। আর এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে গজালিয়া থেকে ফাইতং সংযোগ সড়কটি। একটি অসাধু বনখেকো সিন্ডিকেট বন উজাড় করে মূল্যবান কাঠ পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কাঠ পাচারের মতো অপরাধ করে যাচ্ছে তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র প্রতিদিন প্রতিদিন শত শত গাড়ি অবৈধ কাঠ পাচার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারণে ওখানে মৌসুম অনুযায়ী বর্নিত স্থান হতে সড়ক পথে ফাইতং এবং সরই ইউনিয়ন হয়ে গন্তব্য স্হলে দিনে-রাতে কাঠগুলো পাচার করছে।
জানা যায়,কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় স্থানীয়রা সন্ধ্যার পরপরই ঘরে কাঁথায় মুডিয়ে যায়। এ সুযোগে বন উজাড করে সাবাড় করে দিচ্ছে বনখেকোরা।
স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে লামা উপজেলার গজালিয়া, সরই ফাইতং এলাকার সামাজিক বনায়নের গাছ, বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান, নানা মূল্যবান বনজ সামগ্রী পাচার হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয় কয়েকজন নাম গোপন রাখার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিদিন কাঠ চোরাই সিন্ডিকেট পিকআপ ভর্তি করে বনজ পণ্য পাচার করছে।এর মধ্যে রয়েছে সেগুন, সামাজিক বনায়নের কাঠ সহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য।