রাস্তা আটকে বিক্ষোভ, নাগরিকদের অসুবিধায় ক্ষমা চাইলেন কৃষকরা
আন্তর্জাতিক ডেক্স : নয়াদিল্লির প্রবেশ পথ আটকে বিক্ষোভ চলছে। প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলেছে কৃষক বিক্ষোভের। তবে আঁচ কমেনি। কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে অনশন বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। তবে মানবিকতা হারাননি কৃষকরা।
সংবাদমাধ্যমের সামনে পরিষ্কার ভাষায় দিল্লির সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইলেন তাঁরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা বলেন রাস্তা আটকে রাখায় রীতিমত অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, এটা তাঁরা বুঝতে পারছেন। কিন্তু রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখানো ছাড়া উপায় নেই।
এদিন দিল্লিবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্টার তৈরি করেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছেন দিল্লির সাধারণ নাগরিকদের কাছে। তাঁরা সেখানে লিখেছেন আমরা কৃষক। আমাদের অন্নদাতা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিল উপহার দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের কাছে এটা কোনও উপহার নয়, এটা শাস্তি। যদি আপনারা আমাদের উপহার দিতে চান, তবে আমাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম দিন।
এদিকে, কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে। এই আবহেই এবার মোদী-শাহদের স্বস্তি দিল বিভিন্ন রাজ্যের ১০ সংগঠন। উত্তরপ্রদেশ, কেরল, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, হরিয়ানার ১০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সোমবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে দেখা করেন। নয়া কৃষি আইনকে সমর্থন করেছেন তাঁরা। এই ১০টি সংগঠনই অল ইন্ডিয়া কিষাণ কোঅর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে, নয়া কৃষি আইন নিয়ে এখনও রফাসূত্রের খোঁজে কেন্দ্র। সোমবারও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কৃষকদের সমস্ত দাবি শোনা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমানায় আন্দোলন সোমবার ১৯ দিনে পা দিল। জট কাটাতে কৃষক নেতাদের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের। কোনও বৈঠকেই মেলেনি রফাসূত্র। উল্টে আন্দোলন তীব্র করেছেন কৃষকরা।
আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার একদিনের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনে কৃষকরা। কৃষকদের সমর্থন করে অনশনে সামিল হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বহু আপ কর্মী-সমর্থকরাও কেজরিওয়ালের আবেদনে সাড়া দিয়ে কৃষকদের পাশে বসে অনশন কর্মসূচি পালন করেন।