কবিতা “সুদর্শনের হাত ছেড়ো না”
অনমিত্র স্যানাল
একবার ঐ গাছের ছায়ায় আসতে পারো,
অস্পষ্ট চাঁদের আলোয় ঘেন্নাটাকে রপ্ত করো,
বর্ণনা-তে প্রকাশকের চারটে মাতাল, তিনটে কবি,একটা মুঠো,স্বর্ণমুদ্রা বেশ ছড়ালো,
একটু যদি ভালোবাসতে, অলুক্ষুণে সবুজ আলোয়,
প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, একটু যদি চেষ্টা করো,
বুকের মধ্যে ফাঁকফোকরে ভরাট আলোয় ভরিয়ে দিতে,
দুই পাঁজরে আসমানী চাঁদ,ভরাট বুকে,সেই মিছিলে,
মুখোমুখি ভাঁড়ের চুমুক,আস্ত নিরেট,
সুদর্শনের দু-হাত..
এখন সেখানে ঝড়কে বলি থামতে,
ধরিয়ে দিও সহস্র এক খামতি..
আকস্মিকের রাত,
চেষ্টা কোরো থামলে অকস্মাৎ ।
খোলসে মাছের আঁশের ওপর, তোমার শাঁখার দাগ,
স্পষ্ট দেখতে পাই,তোমার ভালোবাসার আলো,
সবুজ চোখে থাকনা কিছু দাগ,
থাকুক কিছু শ্রেষ্ঠতম কালো,
শিবঠাকুরের মাথায় যেমন জটা,জটার মধ্যে মা-গঙ্গার বাস,
তেমনি ভালোবাসার বুকের মধ্যে পাথর,
আক্ষেপের পরিচ্ছন্ন শ্যাওলা,
ওখানে-ই তো সুদর্শনের দু-হাত,
ধুলোবালি,শুকিয়ে যাওয়া অতি বৃদ্ধা চাঁদ,
পরিপাটি কবিতাগুলোই জল লাগেনি মোটে
দিব্যি শুকনো আছে,
ওখানেই বেশ কিছু অশ্লীল কবিতা লুকিয়ে রেখেছি,
সময়মতো উপনিবেশ গড়বো,
ইন্দ্র তোমায় সঙ্গে নেবো,মোস্তফা তো আছেই বুকের বামে,
সুদর্শনার হাত ছেড়োনা,
অস্থায়ী নয়,পরিচ্ছন্ন জ্যামে,
সভ্যতার কিছু নমুনা রেখে দিও,
চারটে পাগল, তিনটে মাতাল,
মাথার উপর চাঁদ আজীবন,
খোলসে মাছের আঁশের উপর সব কবিতার হিসেব কষে যাবো,
বাঁশের সাঁকোয় পা দেবোনা,
সেখানে তোমার শাঁখার প্রলেপ,ওখানে একটা স্থাপত্য গড়ে যাবো,
ভরাট আলোর পদচিহ্নে
মুখরতার কোলাজ রেখে যাবো..
তিনটে পাগল, সুদর্শনের দু-হাত..
একবার ঐ গাছের ছায়ায় এসো..